সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন নিদর্শনের একাধিক জলজ্যান্ত প্রমাণ৷ যার টানে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণপিপাসু বাঙালি৷ এই প্রাচীন নিদর্শনগুলির মধ্যে বাঙালির অন্যতম প্রিয় হল মন্দির৷ আর এর টানে বারবার মানুষ ছুটে যায় বাঁকুড়ায়৷ তবে বাঙালিকে আর মন্দিরের খোঁজে শুধুমাত্র লালমাটির জেলায় ছুটতে হবে না৷ কারণ, কলকাতার পাশেই যদি পাওয়া যায় বাঁকুড়ার মতো মন্দিরে ঘেরা গ্রাম৷ তবে কেন এতদূর যাওয়া?
[এবার মাত্র ৪০০ টাকায় ঘুরুন গোয়া, সৌজন্যে IRCTC]
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এক আশ্চর্য গ্রাম৷ যা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা৷ যার নাম ‘পাথরা’। আর এই গ্রামের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৩৪টি প্রাচীন মন্দির। কোনটির বয়স ২০০ বছর, কোনটির বয়স তার চেয়েও বেশি। কংসাবতী নদীর ধারের এই গ্রামই এখন কলকাতাবাসীর পছন্দের হেরিটেজ ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন। এই গ্রামের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, নবাব আলিবর্দি খানের শাসনকালে পাথরা গ্রামে এই সমস্ত মন্দির নির্মাণ করেছিলেন বিদ্যানন্দ ঘোষাল নামে এক ব্যবসায়ী৷ আঠারো শতকের গোড়া থেকে শুরু হয়েছিল এই মন্দির নির্মাণের কাজ৷ শেষ হয় আঠারো শতকের শেষ বা উনিশ শতকের শুরুর দিকে৷ যা আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে পাথরার আনাচে কানাচে৷ এই মন্দির দর্শন করতে গেলে সব থেকে ভাল থাকার জায়গা রয়েছে কাছের গোপগড়ে। মেদিনীপুরের মূল শহরের থেকে একটু দূরেই রয়েছে ‘গোপগড় ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার’। অনলাইনেই (www.wbsfda.gov.in) বুকিং করা যায় বন দপ্তরের রিসর্ট। গাছপালায় মোড়া, প্রকৃতির মাঝে এমন সুন্দর বাসস্থান মন ভাল করে দিতে বাধ্য।
[মনের ক্লান্তি মেটাতে স্বল্প খরচে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন বিহারীনাথ]
এই ইকো পার্কের মধ্যেই রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার৷ যার উপর থেকে দেখা যায় দূরের কাঁসাই নদী ও সংরক্ষিত গোপ রাজাদের দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। পাথরায় থাকা ৩৪টি মন্দিরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২৫০ বছরের পুরানো নবরত্ন মন্দির৷ বর্তমানে এই মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উপর৷ এখনও পর্যন্ত ২৮টি মন্দির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। কাজ চলছে অন্যগুলির৷
The post সস্তায় ঘুরে আসুন কলকাতার অদূরের এই মন্দির ঘেরা গ্রামে appeared first on Sangbad Pratidin.