ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জের। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদত্যাগের হিড়িক। রেজিস্ট্রারের পর এবার পদত্যাগ করলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হস্টেল খোলা, অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে অচল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ পরীক্ষা বয়কট করে বিক্ষোভ ও অনশন লেগেই রয়েছে৷ যে কারণে বিশ্বভারতীর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরীক্ষা না দিলে অনুপস্থিত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে ফেল করিয়ে দেওয়া হবে৷ এমনকি মার্কশিটে তার উল্লেখ থাকবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আরও উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর৷ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ভবনে গিয়ে বিশ্বভারতীয় রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল-সহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপককে ঘেরাও করে রাখা হয়৷
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যেতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি টেট উত্তীর্ণদের, রণক্ষেত্র হাজরা মোড়]
প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখা হয় তাঁদের। বুধবার ভোররাতে কোনও শর্ত ছাড়াই কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল-সহ অধ্যাপক, আধিকারিকরা ঘেরাওমুক্ত হন৷ ছাত্রছাত্রীদের দাবি, “কাউকে ঘেরাও করে রাখা হয়নি৷ গেটের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ করেছি। অনেকে চলে গিয়েছেন। আবার অনেকে বাংলাদেশ ভবনের ভিতর বসেছিলেন৷” এদিকে, রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্তু বুধবার পর্যন্ত সেই ইস্তফা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গ্রহণ করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষও পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের যেতে দেওয়া হয়েছে৷ নিঃশর্তভাবেই ঘেরাও মুক্ত করে দেওয়া হয়৷ তবে পড়ুয়াদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা বলতে পারব না৷ কারণ আলোচনা অধ্যাপকদের সঙ্গে হয়েছে৷ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পরবর্তী যা সিদ্ধান্ত নেবে তা জানতে পারলে জানিয়ে দেওয়া হবে।” এদিকে, বুধবার সকাল থেকে পঠনপাঠন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। ভবনে ভবনে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু কোনও পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ এবং মীনাক্ষী ভট্টাচার্য জানায়, তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।