দেব গোস্বামী, বোলপুর: ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতির পরদিনই ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রাক্তনীদের ‘জঞ্জাল’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতনে সোমবার বিশ্বকর্মা আরাধনা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্প উৎসব। প্রত্যেক বছরই অবশ্য এই উৎসব হয়। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ঘোষণার পর চলতি বছরের উৎসব যেন অন্য রূপ নিয়েছে। তাতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “আশ্রমিক, প্রাক্তনীরা কার্যত জঞ্জাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি বেঁচে থাকতেন, তা হলে তিনি প্রথমেই আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের তাড়াতেন। তারা এই কর্মকাণ্ডের জন্য বা এই স্বীকৃতির জন্য কোনওরকম সহযোগিতা করেননি।” ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার সংবাদ আসামাত্রই রবিবার শান্তিনিকেতনে নানা জায়গায় মিষ্টিমুখ, আবির খেলাও হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন উপাচার্য।
[আরও পড়ুন: হামলা রুখতে ‘বডি ক্যামেরা’ কিনছে কলকাতা পুলিশ, ভাঙড়ের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা]
তবে উপাচার্যের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও একাধিকবার আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের একাংশকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে উপাচার্যকে। নাম না করে তাঁদের ‘অশিক্ষিত’, ‘অল্পশিক্ষিত’, ‘বুড়ো খোকা’ বলতে শোনাও গিয়েছিল। উপাচার্যের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকদের একাংশ।
এদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী চত্বরে একাধিক পোস্টার দেখা গিয়েছে। কোনটিতে লেখা, ‘বিশ্বভারতীর ক্ষতির কারিগর উপাচার্য’, আবার কোনটিতে লেখা ‘হেরিটেজ সংক্রান্ত কোনও দায়িত্ব উপাচার্যকে দেওয়া হয়নি’। আবার হেরিটেজ হওয়া আটকাতে ইউনেস্কোকো উপাচার্য চিঠি দিয়েছিলেন বলেও পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা জানা যায়নি।