সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ। আগামিকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। টুইটে সেকথা জানালেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে টুইটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন লিখলেন, ‘গণতন্ত্রের কালো দিন।’ ‘মানুষের হৃদয় থেকে মমতাকে সরানো যাবে না’, টুইট করলেন ফিরহাদ।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। একটি মন্তব্য ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত, অপর মন্তব্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে। তাঁর এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর পরই ৭ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শোকজ করে কমিশন। ৯ তারিখ সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তাঁদের দাবি, শোকজের বাছাই করা অংশের জবাব দিয়েছিলেন তিনি। তাই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। ১৭ তারিখ রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার আগে ২৪ ঘণ্টার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফলে আগামিকাল ভোট প্রচার থেকে বিরত থাকলেও
[আরও পড়ুন: মোদির ‘দিদি, ও দিদি’ ডাকে শহরে বাড়ছে ‘ইভটিজিং’, থানায় দায়ের অভিযোগ]
তৃণমূলের পাশাপাশি এই ঘটনায় কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন বাম নেতা তথা যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যদি প্রচার বন্ধ করতে হয়, তবে শীতলকুচি মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুর প্রচারও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া উচিত। তবেই প্রমাণিত হবে, কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে না।” এই নিষেধাজ্ঞা জারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।