শাহজাদ হোসেন: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। ভোটাভুটির শুরুতেই বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ দু’জনেই। এদিকে, অশান্তির জেরে ৫৩ নম্বর বুথ থেকে সরলেন প্রিসাইডিং অফিসার।
সোমবার নির্দিষ্ট সময়মতো সাগরদিঘির প্রতিটি বুথে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোট শুরুর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে হোসেনপুরের ২১০ এবং ২১১ নম্বর বুথে অশান্তির পরিবেশ। কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন বলেই অভিযোগ। তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। যদিও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ মানতে নারাজ কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি বলেন, “পুলিশ দিয়ে প্রথমে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পারেনি। আর কোনও উপায় নেই। তাই এখন বলছে আমি বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছি।”
[আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই ফ্ল্যাটে ফুর্তির ফোয়ারা, হৈমন্তীর উদ্দাম জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন পড়শিরা]
এদিকে, বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার বিরুদ্ধেও উঠেছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ। সামসাবাদ হাইস্কুলের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপি প্রার্থী ঢুকে পড়েন বলেই অভিযোগ। পালটা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দাবি, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পুলিশ ঢুকে পড়েছে। পুলিশকে সরিয়েও দেন বিজেপি প্রার্থী। এছাড়া ৫৩ নম্বর বুথেও মৃদু অশান্তির অভিযোগ ওঠে। তার ফলে নির্বাচন কমিশন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণের ফলে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার পরিচিত, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বাইরন বিশ্বাসকে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তাঁকে সমর্থন করেছে বামেরা। নবগ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে বিজেপি। ফলাফল আগামী ২ মার্চ। শেষ পর্যন্ত কে জয়ের হাসি হাসে, সেটাই এখন দেখার।