সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহী ‘পুতিনের রাঁধুনি’ প্রিগোজিনকে (Yevgeny Prigozhin) ঘিরে রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে। রুশ (Russia) প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিলেন ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান। তবে, পুতিনের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরেই রণে ভঙ্গ দেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর সন্ধান আর মেলেনি। তিনি কি বেলারুশে, নাকি রাশিয়ায় ফিরেছেন, নাকি আদৌ রাশিয়া ছাড়েনইনি এমন নানা গুঞ্জন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন মার্কিন সেনা আধিকারিক জেনারেল রবার্ট আব্রামস আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, সম্ভবত আর বেঁচেই নেই প্রিগোজিন। অথবা এমনও হতে পারে, তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। যাই হয়ে থাক তাঁর সঙ্গে, একদা পুতিন-ঘনিষ্ঠ মানুষটিকে যে আর কোনওদিনই প্রকাশ্যে দেখা যাবে না, সেব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের ৫ দিন পরে ২৯ জুন পুতিনের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার সাক্ষাৎ হয় প্রিগোজিনের। কেবল তিনিই নন, তাঁর দলের অন্য কমান্ডাররাও সেই বৈঠকে ছিলেন বলে জানিয়েছে মস্কো। প্রাক্তন মার্কিন সেনা আধিকারিকের মতে, পুরোটাই সাজানো।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই বাদ! রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ নিয়ে সওয়াল মোদির]
তাঁর কথায়, ”আমার সন্দেহ প্রিগোজিনকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাবে না। আমি মনে করি হয় ওঁকে কোনও গোপন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা জেলে বন্দি করা হয়েছে।” প্রিগোজিন কি আদৌ বেঁচে আছেন, এপ্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ”আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, উনি আর বেঁচে নেই। যদি বেঁচেও থাকেন জেলে রয়েছেন।”
উল্লেখ্য, বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে গত ২৪ জুন আচমকাই মস্কোর দিকে রওনা দেয় ওয়াগনার যোদ্ধারা। বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, “আমাদের পথে যে আসবে ধ্বংস হয়ে যাবে।” পরে অবশ্য অডিও বার্তায় তিনি বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।”