টিটুন মল্লিক ও মনিরুল ইসলাম: আকাশের মুখভার। সঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি। শুরু থেকে ঝোড়ো ইনিংস বর্ষার (Monsoon)। তার ফলে বাঁকুড়ার প্রায় প্রত্যেকটি নদীতেই বাড়ছে জলস্তর। ফুঁসছে গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শীলাবতী এবং কংসাবতী নদী। একাধিক সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। এদিকে, উলুবেড়িয়ার রাস্তায় ধরেছে বড়সড় ফাটল। সব মিলিয়ে আশঙ্কার প্রহর গুনছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া ভাল নয় বাঁকুড়ার (Bankura)। লাগাতার বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের ছবিও প্রায় একইরকম। এখনও চলছে বৃষ্টি। তার ফলে ক্রমশই বাড়ছে গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শীলাবতী এবং কংসাবতী নদীর জলস্তর। ভাদুল ও মীনাপুর সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। গন্ধেশ্বরী নদীর মানকানালি সেতুও চলে গিয়েছে জলের তলায়। উখড়াডিহি এবং মানকানালি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্লাবনের আশঙ্কায় কাঁটা। বাঁকুড়ার ১৬, ১৮ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডও জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। ভোগান্তির শিকার স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: জোর করে ডিভোর্স দিতে চাইছেন স্বামী, শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বিজেপি নেতার স্ত্রী]
এদিকে, খালের পাড়ের পাকা রাস্তায় হঠাৎই ফাটল ধরল উলুবেড়িয়ার (Uluberia) কালীনগর বাজার এলাকায়। এমনকী রাস্তা কিছুটা বসেও যায়। মাসখানেক আগে এখানে কিছুটা রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারাই ফাটল মেরামত করে নেন। বুধবার সকালে ফের ফাটল ধরে। তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। দুপুরে হঠাৎই প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা কয়েক ফুট বসে যায়। খালের পাড়ে রাস্তার পাশে ছিল মুড়ি, চপ-সহ ছ’টি দোকান। সেই সব দোকানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপদের আশঙ্কায় আমরা মালপত্র বের করে নিয়েছি বলে জানান বিকাশ বাড়ুই নামে এক দোকানের মালিক।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “সেচ দপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারাও ব্যবস্থাও নিচ্ছে।”