সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে যেভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে প্রতিদিনই চিন্তার ভাঁজ গভীর হচ্ছে বঙ্গবাসীর। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০০ করে মানুষ মারণ করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সোমবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যেতেই পারে। কারণ এই প্রথম রাজ্যে একদিনে ৩ হাজারেরও বেশি রোগী করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরলেন। বাড়ল সুস্থতার হারও। যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৩ হাজার ২০৮ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৪৬ জন। শুনলে স্বস্তি পাবেন, তিলোত্তমায় মোট ২৮ হাজার ৪৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ২০ হাজার ৭১৩ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত ৭০ হাজার ৩২৮ জন। ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার গ্রাফ। রাজ্যের ৭১.৪৩ শতাংশ মানুষ করোনাকে হারিয়েছেন। তাঁরাই আশা জোগাচ্ছেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যে সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব, এ কথাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছেন তাঁরা। নানা বয়সের মানুষই এই ভাইরাসকে হারাতে সফল হচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: কিশোর-কিশোরীর প্রেম নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষ, অশান্তি মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ]
এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ২,৯০৫ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬১৮ জন। এর ফলে বাংলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৪৫৯। টেস্টিং বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকটিভ কেস বাড়লেও গতকালের তুলনায় তা কমেছে। বর্তমানে বাংলার মোট অ্যাকটিভ কেস ২৬ হাজার ৩১। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ৪১ জন। যা গতকালের তুলনায় কম। কেবলমাত্র এ শহরেই একদিনে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনার বলি ১২ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২,১০০।
লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব পালনের পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং, টেস্টিংয়ের মাধ্যমেও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ২৯৭টি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ১১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৯৬টি।
[আরও পড়ুন: রাম মন্দির নিয়ে ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট! হেনস্তার শিকার ছাত্রী, হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষও]
The post গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত ৩২০৮ জন, একলাফে অনেকখানি বাড়ল সুস্থতার হার appeared first on Sangbad Pratidin.