shono
Advertisement

আর্থিক বৃদ্ধিতে দেশের নিরিখে এগিয়ে বাংলা, কেন্দ্রের নীতিতে ক্ষতি ৫২৩৪ কোটি, দাবি অমিত মিত্রের

কেন্দ্র চালাকি করছে! দাবি বিশেষজ্ঞদের।
Posted: 01:54 PM Feb 16, 2023Updated: 01:54 PM Feb 16, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: আর্থিক বৃদ্ধিতে সারা দেশের নিরিখে এগিয়ে বাংলা। দেশের অর্থনীতি ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের প্রথম অর্ধে ৬.৯৫ শতাংশ হারে উন্নতির সম্ভাবনা থাকলেও বাংলার অর্থনীতি ৮.৪১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এমনটাই বলা হল রাজ‌্য বাজেট প্রস্তাবে। শিল্পক্ষেত্রেও গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যেখানে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের হার ৫ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের হার ৭.৮ শতাংশ।

Advertisement

উল্লেখ‌্য, রাজ্যের কর রাজস্ব আদায়ের বড় অংশ আসে জিএসটি, বাণিজ‌্য কর, স্ট‌্যাম্প ডিউটি, এক্সাইজ, ভূমিরাজস্ব ও মোটর ভেহিক‌্যালস ট‌্যাক্স থেকে। তবে এর মধ্যেই কেন্দ্রের নীতির জন‌্য রাজ‌্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অর্থ দপ্তরের প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র। চলতি আর্থিক বছরে এই ক্ষতি অন্তত ৫২৩৪ কোটি টাকা। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্র সরকার মূলধনী খাতে খরচ নিয়ে একটি নোট দেয়, যার জেরে রাজ্যের রাজস্বখাতে ঘাটতি অনুদান ১৩৫৮৭ কোটি থেকে কমিয়ে ৮৩৫৩ কোটি করা হয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রের নীতির জন‌্য রাজ্যের ক্ষতি হয়েছিল ৫২৩৪ কোটি টাকা। এখন কেন্দ্র কর না নিয়ে বেশি করে সেস ও সারচার্জ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কর নিলে ৪১ শতাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ‌্য ফেরত পায়। কিন্তু সেস বা সারচার্জ নিলে তা ফেরত মেলে না।’’ বস্তুত, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এটিকে কেন্দ্রের ‘চালাকি’ বলে মনে করছেন।

[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল রাস্তা, প্রতিবাদে পূর্তদপ্তরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সারলেন নিত্যযাত্রীরা]

যদিও রাজ‌্য যেভাবে কর সরলীকরণ থেকে ই-রিটার্নের মাধ‌্যমে আয় বাড়িয়েছে তার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রও। জিএসটি-র রিটার্ন ১০০ ভাগ জমা করা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজ‌্য বিশেষ নীতি নিয়েছিল। ফলে এই আর্থিক বছরে রিটার্ন জমা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটাই বেশি। নেওয়া হয়েছিল আধুনিক প্রযুক্তি। বস্তুত, সেই কারণেই রাজ্যে জিএসটি রাজস্ব গত আর্থিক বছরে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জিএসটি-র ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির হার ২৪.৪৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এটিও সর্বভারতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যখন বাজেট প্রস্তাব পেশ করলেন, তার কিছুক্ষণেই ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বারবার তিনি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। বিস্তারিত ব‌্যাখ‌্যায় তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাজেটের তুলনা চলে না। তবু করলে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাজেটে আর্থিক ঘাটতি ৫.৯ শতাংশ, রাজ্যের ক্ষেত্রে ৩.৮৫ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এর বেশি ঘাটতি বাজেট করতে পারবে না। রাজস্ব ঘাটতি কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ২.৯ শতাংশ, বাংলার ক্ষেত্রে এটি ১.৮ শতাংশ। ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ৫৬.১৯ কেন্দ্রের হলেও বাংলার জন‌্য ৩৭.৬৭।’’ রাজ‌্য বাজেটের প্রশংসায় তিনি উল্লেখ করেন, রাজ‌্য বাজেটে সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব‌্যয় সামগ্রিক উন্নয়ন খরচের ৬০.৪৪ শতাংশ। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামে থাকেন। এই গ্রামের মানুষের জন‌্য যে খরচ করা হচ্ছে তা সামগ্রিক খরচের ৩৪.৭৫ শতাংশ। কৃষি ও আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭৯১০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৫৪২৪ কোটি করা হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়নেও বরাদ্দ বেড়েছে। ছিল ১০৩৮৪ কোটি। হয়েছে ১৩২৯২ কোটি। স্বাস্থ‌্য খাতে ৯০০০ কোটি বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ১০০ কোটি। শিক্ষা-স্বাস্থ‌্য-শক্তি-কৃষি-শিল্প খনিজেও বরাদ্দ বেড়েছে।

[আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার পথে TMC বিধায়ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement