জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভোটের মরশুমে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। কোথাও চলছে ভাঙচুর তো কোথাও গুলি চলছে। রক্ত ঝড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার মিনাখাঁয় (Minakhan) গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ভরতি আহত বারিক মোল্লা। তাঁর পায়ে ও পাঁজরে গুলি করা হয়েছে বলে খবর। রবিবার রাতের ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) অভিযোগের তির আইএসএফের (ISF) দিকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই দুষ্কৃতীরা আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে এই ঘটনায় সোমবার তিন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশকিছু দিন ধরেই বাড়ি ছাড়া ছিলেন বারিক। দু’দিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন তিনি । আচমকাই রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। বারিকের বাড়ি ও তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। বারিকের গায়ে ও পাঁজরে গুলি লাগে। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়।
[আরও পড়ুন : ‘করোনার বাড়বাড়ন্তে মাঝপথে ভোট বন্ধ করা যাবে না’, হুঁশিয়ারি মমতার]
প্রথমে তৃণমূলের দাবি ছিল, এই ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। পরে অবশ্য ঘাসফুল শিবির দাবি করেছে, সিপিএমের সঙ্গী আইএসএফের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও সংযুক্ত মোর্চা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী বারিক মোল্লা। এই হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। থমথমে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তিন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।