কৃষ্ণকুমার দাস ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পূর্ব ঘোষণামতোই রাজ্যপালকে ছাড়া বিধানসভায় শপথ (Oath taking) নিলেন উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়ক। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ মানিকতলার সুপ্তি পাণ্ডে, বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী ও রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী। বাদল অধিবেশনে এবার যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।
মঙ্গলবার চারজনের শপথ নির্ধারিতই ছিল। সোমবার তা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো দুপুরে শপথ নিতে অধিবেশন কক্ষে পৌঁছন নবনির্বাচিত বিধায়করা। প্রথমে রায়গঞ্জের (Raiganj) কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রথম শপথ পড়ান স্পিকার। শপথ নেন দুই মতুয়া (Motua) বিধায়ক। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথ নেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। শপথের পর মুখ্যমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক। সবশেষে শপথ নেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে।
[আরও পড়ুন: পরিচালক রাহুলের কর্মবিরতি, ফেডারেশনের নির্দেশ নিয়ে কী বললেন কুণাল ঘোষ?]
গতবার একইভাবে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার শপথ নিয়ে রাজভবনের কোপে পড়েছিলেন। তাঁদের শপথ 'অসাংবিধানিক' বলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অধিবেশনে উপস্থিত থেকে তার বিরোধিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ''আজ মাননীয় অধ্যক্ষ এই বিধায়কদের যে শপথ পাঠ করিয়েছেন, সেটা সর্বসম্মতিক্রমে হয়েছে। যদি কারও আপত্তি করার বিষয় ছিল, তাহলে তারা বিধানসভায় উপস্থিত থেকে সেটা করতে পারতেন।''
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বাজেট গরিব বিরোধী, জনগণ বিরোধী, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট: মমতা]
শপথের পর চার বিধায়ক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। মধুপর্ণা ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারীরা জানান, নিজেদের এলাকার কাজ থমকে রয়েছে। সেসব কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করাই লক্ষ্য়। এছাড়া এদিন শপথের পর নিট (NEET) নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ হয়েছে বিধানসভায়। প্রস্তাবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে এই পরীক্ষা আয়োজনের নিন্দা করেছে রাজ্যের শাসকদল। পাশাপাশি রাজ্যের হাতে জয়েন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। বুধবার এই প্রস্তাবের উপর দুঘণ্টা আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।