রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাত পোহালেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন (WB Assembly Poll)। তার আগের দিনেও দল ভাঙাল বিজেপি (BJP)। বুধবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ, শিলিগুড়ির উন্নয়ন পর্ষদ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। এদিন দুপুরে হেস্টিংস অফিসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত থেকে বিজেপির পতাকা নেন তাঁরা।
চলতি মাসেই তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন জোড়াসাঁকোর প্রাক্তন বিধায়ক (Ex MLA) দীনেশ বাজাজ। এবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। এদিন দীনেশ ছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন শিলিগুড়ির উন্নয়ন পর্ষদ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল, প্রাক্তন কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী পাল, বিধান রোড ব্যবসায়িক সংগঠনের বাবলু তালুকদার, সর্বভারতীয় বৈশ্য ফেডারেশনের রাজ্যের সহ-সভাপতি সুমন আগরওয়াল, আইএনটিটিইউসির সহ-সভাপতি বিজয়শংকর পাণ্ডে।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ভোটের আগে আবু তাহেরদের গ্রেপ্তারি নয়, হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে তৃণমূল]
২০০১ থেকে প্রায় ২০ বছর তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন দীনেশ বাজাজ। তাঁর কথায়, “পদের প্রতি আমার কোনও লোভ নেই।” তবে দীনেশের অভিযোগ, তৃণমূল ক্রমশ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। হিন্দিভাষী মানুষদের প্রতি দ্বিচারিতার জন্য ঘাসফুল শিবির ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাজাজ পরিবার বহুদিন ধরেই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। দীনেশ বাজাজের বাবা সত্যনারায়ণ বাজাজ ২০০১ সালে জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। এই আসনে ২০০৬ সালে দীনেশ টিকিট পান। জিতেও যান তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০১১ সালে দীনেশ বাজাজকে আর টিকিট দেননি তৃণমূল নেত্রী।
এদিকে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন নান্টু পাল। বুধবার কলকাতায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। শিলিগুড়ির প্রার্থী হয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তাঁকে বহিরাগত বলে দাগিয়ে দল ছাড়েন নান্টু পাল। এবার সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ভোটের আগে আবু তাহেরদের গ্রেপ্তারি নয়, হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে তৃণমূল]