সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় ভোটের উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। নির্বাচনী প্রচারে এসে একে অপরকে বিঁধছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। শনিবার হুগলির ধনেখালির সভা থেকে হিন্দুত্ব ইস্যুতে বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishaek Banerjee)। তাঁর প্রশ্ন, “যোগী আদিত্যনাথের কাছে হিন্দুত্ব শিখব? যার রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ, নির্যাতন হয়।” এর পরই আচ্ছে দিন থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর, হুগলির সাংসদের দৈনিক কার্যকলাপ থেকে গেরুয়া শিবিরের ইস্তাহার, একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি।
নির্বাচনী প্রচারে বাংলা আসছেন গেরুয়া শিবিরের একঝাঁক নেতানেত্রী। তারকা প্রচারকদের তালিকায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথও। প্রচারে এসে বাংলায় হিন্দুত্ব ইস্যুতে (Hinduism) ক্রমাগত তৃণমূলকে বিঁধছেন যোগী। এবার সেই ইস্যুতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা বিঁধলেন অভিষেক। হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন বিবেকানন্দ-রামকৃষ্ণ দেবের কথা তুলে আনেন তিনি। তৃণমূলের যুব সভাপতির কথায়, “আমরা বিবেকানন্দ-রামকৃষ্ণের কাছে শিখব হিন্দু ধর্ম। ওঁরা শিখিয়েছেন, জীবে প্রেমই আসলে ঈশ্বর সাধনা। আর এই জীবে প্রেম করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।” অভিষেকের অভিযোগ, “আমফান-করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার কোথাও বিজেপি নেতা-নেত্রীদের দেখা যায়নি। বরং ওই পরিস্থিতিতেও কাজ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”
[আরও পড়ুন : ‘মোদি দশ লাখি সুটই পরেন না, মানুষকেও ১৫ লক্ষ টাকার টুপিও পরান’, খোঁচা তৃণমূল প্রার্থী লাভলির]
ধনেখালির এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে, ‘জয় বাংলা’ বললে বিজেপি আমাদের ‘বাংলাদেশি’ বলছে। বলছে, ওটা নাকি বাংলাদেশের স্লোগান। আর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ বললেন। তাহলে উনি কত বড় দেশপ্রেমী?” এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, “আমি মিথ্যে বললে আমাকে জেলে পুড়ুক। দেখুক, কত ধানে কত চাল!” এদিন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “এখানকার নির্বাচিত সাংসদের তো দুটোই কাজ। সকাল-বিকেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের নিন্দা করা। আর দিল্লির নেতাদের তল্পিবাহকতা ও চাটুকারিতা করা। উন্নয়ন যা করার তো সেই তৃণমূলই করছে।” সভার শেষে অভিষেকের ডাক, “৬ এপ্রিল লাইনে একবার দাঁড়িয়ে ভোট দিন। আগামী ৫ বছর বিনামূল্যে রেশন পান।”
[আরও পড়ুন : তুচ্ছ শারীরিক জড়তা, মোদিকে দেখতে দীর্ঘ পথ হেঁটে সভায় হাজির হরিপালের প্রৌঢ়]