সুদীপ রায়চৌধুরী: রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার পালটা শ্যামবাজারে ধরনায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতার (Mamata Banerjee) ধরনা মঞ্চের তুলনায় কার্যত ফিকে মঞ্চ থেকেই সব চোরেদের জেলে ভরার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদাররা দাবি করলেন, একজন চোরও ছাড়া পাবে না।
এদিনের ধরনা মঞ্চে গোষ্ঠীকোন্দলের ছায়া এড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের (Suvendu Adhikari) এক মঞ্চে দেখা গেল। ছিলেন রাহুল সিনহা, রুদ্রনীলরাও। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই বিজেপি নেতারা মমতার ধরনাকে নিশানা করেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। সেই টাকার হিসাব সঠিকভাবে না দেওয়া পর্যন্ত কোনও টাকা কেন্দ্রের দেওয়া উচিত নয়।
[আরও পড়ুন: নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? ‘খেয়ালখুশি মতো রায় দেন’, সুপ্রিম কোর্টে সরব মুকুল রোহতগী]
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন দাবি করেছেন, গোটা তৃণমূল দলটাই চোর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এর আগে বিরোধী দলনেতার সঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কী কথা হয়েছে সেটা বলব না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি একজন চোরও বাইরে থাকবে না। তিহাড় জেলটাই তৃণমূলের (TMC) ঠিকানা হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও একই সুরে কথা বলেন, তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসলে স্টিকার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কেন্দ্রের সব প্রকল্পে রাজ্যের স্টিকার লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলা: ইডি-সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট]
এদিন, শুভেন্দু-সুকান্তদের তুলনায় সুর বেশি চড়ান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের সব টাকা দিদি বিভিন্ন রকম ‘শ্রী’ দিয়ে শেষ করে দিচ্ছেন। দিদির ‘শ্রী’ মানেই গণ্ডগোল। মমতাকে ‘দুর্নীতিশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া উচিত।” যদিও বিজেপি নেতাদের এই সমবেত ধরনাকে সেভাবে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল।