রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুম্বইয়ে যখন INDIA জোট আগামী লোকসভার রণকৌশল তৈরির চেষ্টায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে, তখন বিশেষ পিছিয়ে নেই বিজেপিও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পিছিয়ে থাকা ১২৪টি আসনে কী রণকৌশল সেটা ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। এই আসনগুলির মধ্যে বাংলার ২৪ আসন রয়েছে।
উনিশের ভোটে দখলে না থাকা ২৪টি আসন নিয়ে নাড্ডার (JP Nadda) কাছে খুব একটা আশাপ্রদ রিপোর্ট দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিতে পারছেন না বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। উনিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha) কম সংখ্যার ব্যবধানে বিজেপির হারা আসনের সংখ্যা ১২৪টি। এই আসনগুলিতে জেতার ব্যাপারে গত একবছর ধরেই মাঠে নেমেছিল গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচে মাঠ ভরাতেও কমাতে হল টিকিটের দাম! আজব কাণ্ড এশিয়া কাপে]
বাংলাতেও এইরকম ২৪টি আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিদের। বার বার বাংলায় এসে তারা এইসব লোকসভা আসনগুলির সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন। সেখানকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলার সেই ২৪টি লোকসভা কেন্দ্রে দলের সাংগঠনিক অবস্থা কি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি আদৌ পদ্ম শিবিরের পক্ষে অনুকূল কি না, এসব নিয়েই আজ বিস্তারিত রিপোর্ট নাড্ডাকে দেবেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ও স্মৃতি ইরানিরা। এই আসনগুলি কীভাবে জেতা সম্ভব, সেটা নিয়েও আজ আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘শৈলেন মান্না অজাতশত্রু, বিকল্পহীন’, ‘মান্নাদা’র শতবর্ষে আবেগপ্রবণ সত্যজিৎ]
বৈঠকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও থাকবেন। দলীয় সূত্রে খবর, রিপোর্টে সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টিই মূলত উল্লেখ থাকছে। একইসঙ্গে দলের মধ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্বের জন্য সংগঠন যে দুর্বল হচ্ছে তাও উল্লেখ থাকছে রিপোর্টে। এদিকে, দলে এই আদি-নব্য কোন্দল, পুরনোদের গুরুত্ব না দেওয়া নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে আসছে সে সম্পর্কেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।