রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুজোর আগেই রাজ্যে ভোটের বাদ্যি। মাস শেষেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhabanipur Bypolls)। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করতে রাজি নন তিনি। তাই রবিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সেরে ফেললেন জনসংযোগ। লিখলেন দেওয়ালও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার রাতের হেস্টিংসের বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Tibrewal) কর্মসূচি। সেই মতো এদিন সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে হাজির হন তিনি। পরনে জিনস, কালো-গোলাপি জ্যাকেটের সঙ্গে গলায় ছিল দলীয় উত্তরীয়। প্রাতঃভ্রমণ সারতে সারতেই কথা বললেন উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে। ‘চায়ে পে চর্চা’র বদলে সারলেন ‘আখের রস পে চর্চা’। প্রাতঃভ্রমণ সেরে মাটির ভাঁড়ে আখের রসে চুমুক দিলেন বিজেপি প্রার্থী। নিজে হাতে পেষাই করলেন আখও। পরে অবশ্য চা খেতে খেতেও সারলেন জনসংযোগ (Election Campaign)। শুধু রাস্তায় নয়, রাস্তার দু’পাশে থাকা দোকানে-দোকানে ঢুকেও কথা বলেন তিনি। সকলের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানতে চান তিনি। তুলে ধরেন নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনাও।
[আরও পড়ুন: WB Bypolls: অন্য জেলার নেতাদের ভবানীপুরের দায়িত্ব কেন? ক্ষুব্ধ বিজেপির একাংশ]
এদিন প্রিয়াঙ্কা একা নন, দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে দেওয়াল লেখেন তিনি। দলীয় প্রতীকের রঙ দেন প্রিয়াঙ্কাও। সবমিলিয়ে এদিন সকাল থেকে জমজমাট ভবানীপুর চত্বর। শাসক শিবির থেকে প্রিয়াঙ্কাকে কখনও ‘বাচ্চা মেয়ে’ তো কখনও ‘কেউ তাঁকে চেনেনই না’ বলে দাবি করা হয়েছে। এদিন তার জবাবে প্রিয়াঙ্কার দাবি, “বিরুদ্ধে কে আছেন তা দেখব না। এবার লড়াইটা ন্যায়ের সঙ্গে অন্যায়ের। সেই লড়াইটা আমি লড়ব। কে বাচ্চা মেয়ে তখনই দেখা যাবে।” বললেন, “আমি বড় নেতা নই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার লক্ষ্য। তাঁদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তাঁদের কথা শুনছি।”
তবে ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচার ও ভোট সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব বন্টন নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ‘ভূমিপুত্র’দের বদলে ৮ ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন বিভিন্ন জেলার বিজেপি (BJP) নেতারা। যা নিয়ে দলের অন্দরেও ক্ষোভ রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা অন্দরের সেই ক্ষোভ মুছে কীভাবে প্রচারে ঝড় তোলেন, তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।