বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোটপ্রচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কোচবিহার। সোমবার প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল এবং বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিন দু’পক্ষের স্লোগান, পালটা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার বামনহাট এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা।
৩০ অক্টোবর কোচবিহার জেলার দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে সোমবার ভোটপ্রচারে নেমেছিলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এদিন সকালে বামনহাট এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছিলেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীরা। সঙ্গে ছিলেন নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীও। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করার সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় কয়েকজন। তাঁদের দাবি, “নিশীথ প্রামাণিক কোথায়? যাঁকে ভোট দিয়েছিলাম সেই নিশীথ কোথায়?”
[আরও পড়ুন: বিচ্ছিন্নতাবাদের পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরা, বালুরঘাটে আত্মসমর্পণ কেএলও জঙ্গির]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিক্ষোভকে পাত্তা দেয়নি বিজেপি নেতাকর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফায়-দফায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। শেষপর্যন্ত দিনহাটার প্রার্থী অশোক মণ্ডল প্রচার ছেড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের মুঙ্গের থেকে অস্ত্রপাচার, ধানবাদ-কলকাতাগামী বাসে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার ৩]
ঘটনা প্রসঙ্গে নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অভিযোগ, “তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। দিনহাটার পরিস্থিতি আফগানিস্তানের চেয়েও ভয়ঙ্কর। সেখানকার মানুষ দিনহাটার ছবি দেখলে লজ্জা পাবে।” তাঁর দাবি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করে তবেই ভোট করা হোক। কেন বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল? জবাবে বামনহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা দীপককুমার ভট্টাচার্য জানান, “মাত্র ৮ মাস আগেই আমরা নিশীথ প্রামাণিককে ভোট দিয়েছিলাম। তাঁকে জিতিয়েছিলাম। তারপর তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন। আবার কেন আমরা ভোট দেব? আর কেন্দ্রীর সরকার ক্রমাগত তেল, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আমজনতার নাভিশ্বাস তুলে বারবার ভোটের ব্যবস্থা করছে বিজেপি।”