রাজা দাস, বালুরঘাট: এবার মায়ের বিরুদ্ধে পুরলড়াইয়ে মেয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লড়াই নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে এলাকাবাসীরয। মা-মেয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে জোর চর্চা ভোটদাতাদের মধ্যে। তবে রাজনৈতিক এই লড়াই কোনওভাবেই পারিবারিক সম্পর্কে চিড় ধরাচ্ছে না বলেই দাবি দু’জনের। যে যাঁর মতো প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় অবশ্য মায়ের চেয়ে মেয়ের পোস্টারই বেশি দেখা গেল।
২৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বালুরঘাট (Balurghat)পুরসভা। তার মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লড়াই এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বামফ্রন্টের তরফে আরএসপি (RSP) প্রার্থী হয়েছেন মা অপর্ণা মহন্ত। প্রতিপক্ষ হিসেবে তৃণমূলের (TMC) টিকিটে দাঁড়িয়েছেন তাঁর মেয়ে অনুশ্রী মহন্ত। দেওয়াল লিখনে একে অপরকে টেক্কা দেওয়া তো বটেই, বাড়ি বাড়ি প্রচারেও একে অপরকে পেছনে ফেলতে মরিয়া তাঁরা। ওই ওয়ার্ডে বিজেপি নয়, তৃণমূল আর বাম প্রধান প্রতিপক্ষ বলে দাবি।
[আরও পড়ুন: হাজরায় বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু, বাবার নামে স্লোগান ওঠায় মেজাজ হারালেন বিরোধী দলনেতা]
দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলেও তাঁদের সম্পর্কে থাবা বসেনি এতটুকু। তবে ভোটের ময়দানের কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয় সেখানে। এদিকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অভ্যস্ত মা ও মেয়ের মধ্যে কাকে নির্বাচিত করলে ভাল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান ওই এলাকার ভোটার তথা নাগরিকরা। এই ঘটনাকে ঘিরে পুরো রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর পড়েছে ওই ওয়ার্ডটিতে।
[আরও পড়ুন: বিধাননগরে জয়ের পরই দলনেত্রী মমতার কাছে সস্ত্রীক সব্যসাচী দত্ত, পেলেন উপহারও]
বামপ্রার্থী অপর্ণা মহন্ত বলেন, ”আমার স্বামী কট্টর বামপন্থী তথা আরএসপি’র হয়ে সারা জীবন কাজ করছেন। স্বামীর ইচ্ছার কারণে আমি বাম প্রার্থী হয়েছি। আমার মেয়েও জামাইয়ের কথায় প্রার্থী হয়েছে। আমার আদরের মেয়ে অনুশ্রী। আমাদের সম্পর্ক মধুর আছে। তবে আমিই নির্বাচিত হব এই ওয়ার্ডে। এখানে রাস্তাঘাট, ড্রেন, জলের সমস্যা। নির্বাচিত হয়ে আমি এই কাজগুলোই আগে করব।” অপরদিকে মেয়ে অনুশ্রী মহন্ত জানান, ”ভোটের কারণে সম্পর্কে কোনও বাধা হবে না। এখানেই আমিই জিতব। কে দাঁড়াল, সেটা বড় ব্যাপার নয়। আমার লড়াই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। এখানে বামেরাই প্রধান প্রতিপক্ষ। প্রচারে গেলে মানুষ বিষয়টি জানতে চাইলে একই কথা বলছি। আমিই নির্বাচিত হব এবং রাস্তাঘাট, পানীয় জলের উন্নতি ঘটাব।” এখন মা-মেয়ের এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসেন, সেদিকেই সকলের নজর।