অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: পাহাড় সফরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে জানান মমতা।
বুধবার দুপুরে নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে দার্জিলিং ম্যালের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অনুষ্ঠান শেষে চড়াই উতরাই পেরিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনি। পথের ধারে ক্যাফেতেও ঢুঁ মারেন। গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে গলা ভেজান। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের গানে তালও মেলান।
[আরও পড়ুন: কেন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া উদ্বোধন? মেট্রো ভবনের সামনে বিক্ষোভ মদনের, বিজেপিকে তোপ কুণালের]
এরপর রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। রাজ্যপাল এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথাবার্তা হয় তিনজনের। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে আসা। তবে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে বসে এক কাপ চা এবং বিস্কুট খেয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোটেও ‘সদ্ভাব’ নেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বারবার দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। কখনও টুইট আবার কখনও নবান্ন-রাজভবন চিঠি আদানপ্রদানও হয়েছে। বুধবারও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সাক্ষাৎ একেবারে ‘অরাজনৈতিক’ বলে মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় দার্জিলিংয়ের রাজভবনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতিতে জল্পনা যে আরও জোরাল হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।