গৌতম ব্রহ্ম: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বীরভূম। অথচ সেই জেলা তৃণমূল সভাপতিই গরু পাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি। কবে জামিন পাবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কিছুই। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের বোলপুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতহীন বোলপুর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, আগামী ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে মমতার। তার পরদিন অর্থাৎ আগামী ৩১ জানুয়ারি বোলপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দু’দিন একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রশাসনিক সভা করবেন মমতা। রয়েছে দলীয় বৈঠকের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিও। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবারের বীরভূম সফরে ঠিক কী বার্তা দেন মমতা, সেদিকে নজর সকলের।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন বেহাল রাস্তা, ভোগান্তির কথা শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে ধমক ‘দিদির দূত’ কুণালের]
এর আগে শেষবার গত বছর বোলপুরে গিয়েছিলেন মমতা। সেই সময় বগটুই কাণ্ডে উত্তাল ছিল অনুব্রত গড়। দলের বিশ্বস্ত সৈনিক কেষ্টকে পাশে নিয়ে বগটুই গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন মমতা। বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল শেখকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ।
তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। কেষ্ট গড় এখন ফাঁকা। গত আগস্টে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। তাঁর নামে বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। আইনি মারপ্যাঁচে যদিও অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা আপাতত থমকে রয়েছে। এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। ‘দিদির দূত’রা পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতহীন বোলপুর নিয়ে যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শাসক শিবির, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই অনুব্রতহীন বোলপুরে মমতার সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।