shono
Advertisement

Breaking News

কেন একসঙ্গে এত অনুমোদন বাতিল? বিএড কলেজ নিয়ে তদন্ত চান ব্রাত্য

এই কলেজগুলির মধ্য়ে ৫টি কলেজ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পীটের।
Posted: 09:32 PM Nov 11, 2023Updated: 09:32 PM Nov 11, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় অনুমোদন বাতিল হয়েছে রাজ্যের মোট ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজ (B Ed College)। শনিবার বোলপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সভাগৃহে রাজ্যের বিএড কলেজের মালিক ও প্রতিনিধিরা কলেজগুলির সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে জমায়েত হন। এর পাশাপাশি তাঁদের দাবি, কলেজের অনুমোদন বাতিল করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই।

Advertisement

শুক্রবার বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। রাজ্যে মোট ৬২৪টি বেসরকারি বিএড কলেজের মধ্যে একধাক্কায় ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়। বিএড কলেজগুলিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক ছিলেন না কিংবা অন্যান্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছিল না। তাই অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় যে ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করেছে, তার মধ্যে মোট পাঁচটির মালিক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মলয় পীট। পাঁচটির মধ্যে তাঁর তিনটি ঝাঁ-চকচকে বিএড কলেজ রয়েছে বীরভূমেই।

[আরও পড়ুন: রঙ্গলীলার ভিডিও প্রকাশ করব! নাম না করে অমিতাভ চক্রবর্তীর কেচ্ছা ফাঁসের হুঁশিয়ারি অনুপমের]

প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক বিএড কলেজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল সেখানকার পরিকাঠামো নিয়েও।বেশ কয়েকটি বিএড কলেজে ভুয়ো ফায়ার সেফটি লাইসেন্স ব্যবহারের অভিযোগও এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকার সাপেক্ষে রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭১টি বিএড কলেজকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা যায়। কলেজ মালিক কর্তৃপক্ষ অক্ষয় কুমার বর্মন, শান্তিনাথ সরকার, অনিল চক্রবর্তীর বক্তব্য, অনুমোদন বাতিল করার কোন অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। বর্তমান উপাচার্য আদালতে নির্দেশের দায়িত্বভার নিয়েছেন। ইসি মিটিং ছাড়াই রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি পাবার পরও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনটিসিই) প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা মানা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধুমাত্র পড়ুয়ারা বিভ্রান্ত হবেন ও উচ্চশিক্ষায় বঞ্চিত হবেন শুধু তা নয়। রাজ্যে ২৫৩টি বিএড কলেজ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও জানানো হবে বোলপুরের কনভেনশন থেকে।

[আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখতে ইডেনে মিক জ্যাগার, ‘দ্য রোলিং স্টোন্‌স’ তারকার সামনেই ছন্দে রুটরা]

কেন একসঙ্গে এতগুলি বিএড কলেজের স্বীকৃতির পুনর্নবীকরণ করা হল না, তা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তদন্তের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। একইসঙ্গে রাজ্যপাল-আচার্য নিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের ‘পরিযায়ী উপাচার্য’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে একটি অনুষ্ঠানে ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন না পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই পরিযায়ী উপাচার্যরা, অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যরা এভাবে রাজ্যের সিস্টেম খারাপ করতে পারে। সবাই জানে যে স্কুলের চাকরি পাওয়ার জন্য বিএড করা আবশ্যক। ফলে কী হয়েছে, এটা কেন করেছে জানি না। আমি দপ্তর থেকে একটা ফর্মাল তদন্ত করে দেখব।”

মোট ৬২৪টি কলেজ রয়েছে বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অধীনে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস মিলিয়ে ২১টি সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত। এই ২১টি-সহ মোট ৩৭১টি কলেজকে এবছর অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে এক ধাক্কায় কমে গিয়ে বিএড-এর আসন সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৬২৪টি কলেজ মিলিয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ছিল। যা এ বছর কমে প্রায় ৩৩ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, এক ধাক্কায় প্রায় ২০ হাজার আসন কমে গিয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে গিয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোর্সগুলিতে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া। তবে, আসনসংখ্যা কমলেও সব আসনে পূরণ হয়নি। জানা গিয়েছে, এবছর যে কলেজগুলি অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলিতে প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। ফাঁকা পড়ে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার আসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement