রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: প্রিসাইডিং অফিসারকে (Presiding officer) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্টের বেতাই পলিটেকনিক কলেজে ডিসিআরসি কেন্দ্রে। ঘটনার পরই ওই কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ভোটকর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পৌঁছান জেলার ভূমি সংস্কার আধিকারিক অনীশ দাশগুপ্ত, তেহট্ট ২ ব্লকের বিডিও শুভ সিংহ রায়, তেহট্টের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশিপাড়া বিধানসভার ডিসিআরসি কেন্দ্র তেহট্টের বেতাই পলিটেকনিক কলেজ। বুধবার দুপুরে সেখানে পুলিশ ট্র্যাক করতে যান ১৭৭ পোলিং প্রিসাইডিং অফিসার সুকান্ত বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, সেখানেই ঠাকুরদাস মাহাতো নামে এক পুলিশকর্মীকে বার বার মাইকে ডাকা সত্ত্বেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে পাওয়া গেলে তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠার কথা বলেন সুকান্তবাবু। তখনই ঠাকুরদাস মাহাতো প্রিসাইডিং অফিসারের উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। সুকান্তবাবুর দাবি, পালাতে গিয়ে পড়ে গেলে ওই পুলিশকর্মী-সহ তাঁর সহকারীরা লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে। লাথিও মারে। গুরুতর জখম হন।
[আরও পড়ুন: ‘কমিশন যাঁকেই পাঠাক, ভোট আগের মতোই হবে’, চ্যালেঞ্জ অনুব্রতর]
ঘটনায় সুকান্ত বিশ্বাসের কোমর ও মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ঠাকুরদাস মাহাতোর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশকর্মীদের মতবিরোধ হওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তেহট্ট এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতদূর জানা গেছে দুই পক্ষের দোষ রয়েছে। তবে তা খতিয়ে দেখেই উপরমহল ব্যবস্থা নেবে।” জেলা শাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”