সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা (post poll violence)অব্যাহত। পঞ্চম দফা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলল। অশান্তির কেন্দ্রে মূলত উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা। নির্বাচন চলাকালীন শনিবরা দিনভর উত্তপ্ত ছিল বিধাননগর। ভোট শেষের পরও সল্টলেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এড়ানো গেল না। অন্যদিকে, মিনাখাঁ, সন্দেশখালিতে তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘর্ষ। বর্ধমানেও প্রায় একই ছবি। সবমিলিয়ে, ভোটপর্ব মিটলেও রাতে শান্তির ঘুম এল না কারও চোখেই।
উত্তর ২৪ পরগনার(North 24 parganas) মিনাখাঁর (Minakha) তৃণমূল প্রার্থী উষারানি মণ্ডল। তিনি এই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়কও বটে। শনিবার ভোট মিটতেই রাতের দিকে তাঁর গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন স্বামী। আচমকা, গাড়িতে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। জখম হন তাঁর স্বামী ও গাড়ির চালক। গাড়িতে না থাকায় বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে যান প্রার্থী উষারানি মণ্ডল। যদিও কে বা কারা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালাল, বোমা ছুঁড়ল, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী নিজেও এ বিষয়ে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তা। মিনাখাঁ সংলগ্ন কেন্দ্র সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে রাতে হামলা চালিয়ে, বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত চোপড়া, বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি!]
এদিকে, দিনভর উত্তপ্ত থাকার পর রাতেও রাজনৈতিক অশান্তির খবর মিলল সল্টলেক (Salt Lake) থেকে। রাতের দিকে নতুন করে দত্তাবাদে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগেই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে তা সামাল দেয়। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে যায় পরিস্থিতি। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোলায় রাতে বোমাবাজি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে বোমাবাজির নেপথ্য়ে কোন রাজনৈতিক দল দায়ী, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই স্থানীয়দের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ পার, একদিনে প্রাণ গেল ৩৪ জনের]
শনিবার ভোট ছিল বর্ধমানের (Burdwan) ৮ টি কেন্দ্রে। সেখান দিনভর তেমন কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। তবে সন্ধের পর বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাতে জখম হন দু’জন। কাঠগড়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতা খোকন সেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাসের নেতৃত্বে। রাতে দীর্ঘক্ষণ চলে ঘেরাও কর্মসূচি। এভাবেই ভোটের পরও নানা দিক বিক্ষিপ্ত অশান্তির রেশ জারি রইল।