সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির (BJP) শত স্ট্র্যাটেজিও কাজে এল না। বাংলা দখলের লক্ষ্যে ফের ব্যর্থ গেরুয়া শিবির। আট দফা ভোট শেষে রবিবার ফলপ্রকাশের শুরু থেকে ট্রেন্ড দেখে বোঝা গিয়েছে, বিজেপির যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ফের বাংলায় ফিরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারই। এরপরই শাসকদলের নেতা, কর্মীরা যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন। আর বিজেপির ব্যর্থতা নিয়ে টুইটে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O’ Brien)। তাঁর কটাক্ষ, মোদি-শাহ-বিজেপি-ইডি-সিবিআই-নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রয়াস দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃণমূল কর্মীদের প্রচেষ্টার কাছে ডাহা ফেল করেছে। পাশাপাশি তিনি বিজেপি প্রভাবিত সংবাদমাধ্যম এবং ‘বিশ্বাসঘাতক’দেরও তুলোধোনা করেছেন।
বাংলা এবার কার? একুশের বিধানসভা ভোটে এই প্রশ্নই বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। কারণ, আট দফা ভোট শেষে আবহ এমনই ছিল যে কোনওভাবেই নিশ্চিত ধারণা করা যায়নি – পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন। এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা, অপেক্ষা ছিল রবিবার সকালে গণনাকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খোলার আগে পর্যন্তও। তবে বেলা গড়াতে খানিকটা স্পষ্ট হয়ে যায় আগামী ৫ বছর বাংলার শাসনক্ষমতা থাকছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা ‘জননেত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। এই ইঙ্গিত পেতেই ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটে কার্যত তীব্র শ্লেষের সুরে বিজেপিকে বিঁধলেন।
[আরও পড়ুন: ‘দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতব’, ফলাফলের ট্রেন্ড দেখেই কর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা মমতার]
শাসকদল ঘেঁষা রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি ছিল, ইডি-সিবিআই-নির্বাচন কমিশন একত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূলকে লড়াইয়ে পরাজিত করতে চাইছে বিজেপি। এভাবে চাপ বাড়ানোই কৌশল। কিন্তু সেসব উদ্দেশ্য যে ডাহা ব্যর্থ হয়েছে, ভোটের ফলাফলেই তার প্রমাণ। এই অবস্থায় বিজেপি নেতৃত্বের কার্যত মুখ পুড়েছে। তৃণমূলের তরফে টিপ্পনি অস্বাভাবিক তো নয়ই। আর সেই কাজটাই প্রথম শুরু করে দিলেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। বাংলা যেমন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তেমনই রাজ্যবাসীর প্রতিও যে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে, তাও বুঝিয়েছেন তিনি।