ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বাংলা দেশকে পথ দেখাবে। বাঙালিদের মেধা জগৎসভার শ্রেষ্ঠ আসন লবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ভাষণে এভাবেই বাংলার প্রশংসা করলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্য়াল কলেজের ১৫০ বছরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই বাংলার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার অবদানও।
সিভি আনন্দ বোসের কথায়, “বিশ্বকে পথ দেখাবে এই দেশ। আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। এই রাজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুন প্রজন্মের উপরেই।” সেই তরুন প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলার আরও উন্নতি ও গৌরব বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন রাজ্যপাল। করোনার সময় চিকিৎসক, নার্স থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্য কর্মীর অবদানের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, “করোনাকালে প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি।”
[আরও পড়ুন: সাময়িক স্বস্তিতে অনুব্রত, ৭ ডিসেম্বর অবধি স্থগিত কেষ্টর দিল্লি যাত্রা]
এদিন শুধু বাংলা নয়, রাজ্যপালের ভাষণে উঠে আসে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাসও। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজই নয়, বরং এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পত্তি। রাজ্যের এই মেডিক্যাল কলেজের ১৫০ বছরের সূচনা অনুষ্ঠানে এসে এমনই জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই মেডিক্যাল কলেজেই প্রথম উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার থেকে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে নলজাতক দুর্গার জন্মের ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন বলেও জানান রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, বাংলার রাজ্য়পাল হওয়াল আগে থেকেই এ রাজ্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন সিভি আনন্দ বোসের পরিবার। সেই সূত্র ধরেই রাজ্য়পালের পরিবার বোস পদবি ব্যবহার করেন।