সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়ালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বলে দিলেন, আলোচনা করা মানেই সব প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে দেওয়া নয়।
রাজ্য সরকারের অভিযোগ বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ব্যতিরেকে এগারোটি সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। যা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজ্যপালের পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ তকমা দিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘বেআইনিভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।’’ এরই মধ্যে এদিন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন অস্থায়ী উপাচার্যরা।
[আরও পড়ুন: ৩০ সেকেন্ডেই উধাও হবে হাইপারটেনশন! সুস্থ থাকার টিপস দিচ্ছেন মালাইকা]
কিন্তু রাজভবন সূত্রে বলে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল যে কোনওরকম আলোচনা করেননি, তেমন নয়। ১ জুন রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদেরই মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে রাজভবনে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু সেই সুপারিশ মানেননি রাজ্যপাল। নিজের ইচ্ছামতো অধ্যাপকদের বেছে নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন তিনি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, এই নিয়োগ উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ বলেই তাঁর দাবি।
[আরও পড়ুন: সেনার অনুষ্ঠানের মঞ্চে হোঁচট, বক্তৃতা সেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বাইডেন, ভাইরাল ভিডিও]
একদিকে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ। অন্যদিকে সেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ। এই দুইয়ের মাঝেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবার দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যপাল এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন, নিজের সিদ্ধান্তে তিনি অনড় থাকবেন।