মলয় কুন্ডু: ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা।পরিস্থিতি মোকাবিলায় একদিকে যেমন কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমনই এবার দুঃস্থ করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠানোর ব্যবস্থাও করছে রাজ্য সরকার। এবার কোভিড (COVID-19) রোগীদের জন্য রান্না করা খাবার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করল সরকার। রবিবার বাংলার গর্ব মমতা টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে।
টুইটারে লেখা হয়,”রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোভিড-সংক্রমিত ব্যক্তিদের হোম ডেলিভারি পরিষেবার মাধ্যমে সুষম খাদ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সোমবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকেই এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা করোনা আক্রান্তদের পরিবারের জন্য বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এই কাজ করবে রাজ্য পুলিশও। করোনায় আক্রান্ত কোনও মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অটোচালকের মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আনন্দপুরে চাঞ্চল্য]
গত কয়েক বছর ধরে লকডাউনে রাজ্যের তরফে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবারও যাতে দুস্থ মানুষরা খাবার পান, তা জেলাশাসকদের দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, প্যাকেট করে চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুটের মতো শুকনো খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, মাথাপিছু তিন কেজি করে চাল, দেড় কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে প্যাকেট তৈরি করতে।
এবার শুকনো খাবারের পাশাপাশি পৌঁছে দেওয়া হবে রান্না করা খাবারও। কারণ বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, করোনা আক্রান্তের পক্ষে রান্না করা সম্ভব হয় না। কোথাও আবার গোটা পরিবার সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে দুর্বল শরীরে রান্না করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অথচ সুস্থ হতে ওষুধের পাশাপাশি পথ্যও দরকার। তাই এই উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার।
[আরও পড়ুন: মেলেনি প্রথম মেসেজের রিপ্লাই, ১১ বছর পর সেই ‘স্বপ্নসুন্দরীকে’ই বিয়ে করলেন চিকিৎসক]
যেভাবে করোনার প্রকোপ ফের রাজ্যে বেড়ে চলেছে, তাতে মৃদু উপসর্গযুক্ত বহু আক্রান্তই নিজের ঘরে আইসোলেশনে থাকছেন। তাঁদের কাছেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়াও দুস্থ মানুষদের জন্যও এই ব্যবস্থা করবেন জেলাশাসকরা। রাজ্য পুলিশও পৃথকভাবে সেই কাজ চালাবে। প্যাকেটে উল্লেখ করা থাকবে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের সৌজন্যে।