ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ট্রায়াল শুরুর কথা ছিল ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেই ট্রায়াল নির্দিষ্ট দিনে শুরু করা যাচ্ছে না বলে খাদ্য দপ্তরকে (Food & Supplies Department) জানিয়ে দিল রেশন ডিলাররা। আরও ১৫ দিন পিছিয়ে এই কাজ শুরু করা যেতে পারে বলে ডিলারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছানোর জন্য ডিলারদের গাড়ি কিনতে এক লক্ষ টাকা ভরতুকি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সরকার। সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন ডিলাররা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি ভরতুকি পেলেও ডিলারদের ট্যাঁক থেকে বাকি টাকা ব্যয় করা পক্ষে সম্ভব নয়।
শুক্রবার খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে রেশন ডিলারদের (Ration Dealer) বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প ভাইফোঁটা থেকে চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রায়াল চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনের হুমকি, বিপাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক]
মূল সমস্যা কথা বলতে গিয়ে ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়ি নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে রেশন বিলি করতে যে ন্যূনতম পরিকাঠামো দরকার, তার অনেকটা এখনও ডিলারদের হাতে আসেনি। যেমন, গাড়ির ব্যবস্থা হয়নি। ই-পস মেশিন বয়ে নিয়ে যাওয়া সমস্যার। বাড়ি গিয়ে রেশন বিলির জন্য মজুরিবাবদ অতিরিক্ত কমিশন প্রয়োজন। এখন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৭৫ টাকা কমিশন পান ডিলাররা। তা কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা ধার্য করার দাবি তুলেছেন ডিলাররা। প্যাকেজিংয়ের জন্য আলাদা আরও ৪০ টাকা দাবি ডিলারদের। এর সঙ্গেই গাড়ি নিয়ে সমস্যার কথাও খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ডিলাররা।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ১৫ দিন ট্রায়াল দেওয়া হবে। তার ফিডব্যাক খাদ্য দপ্তরকে দেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে সেই মেনে নিয়েছেন। তিনিও ফিডব্যাক চেয়েছেন। তবে কমিশনের দাবিতে ডিলাররা অনড়। অন্যদিকে গাড়ির সমস্যা নিয়ে ডিলারদের পক্ষ থেকে তাঁর বক্তব্য, “গাড়ি কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার গাড়ির সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে।” কিন্তু গাড়ি না থাকলে রেশন নিয়ে পৌঁছবেন কী করে রেশন দোকানের কর্মীরা? বিকল্প পথ হিসাবে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা তাঁদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। বিশ্বম্ভরবাবুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছামতো আমরা ভাইফোঁটার দিন থেকেই কাজ শুরু করব। তার জন্য দরকারে টোটোয় রেশনের সামগ্রী চড়িয়ে নিয়ে যাব আমরা।”