ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কসবার ভুয়ো টিকাকরণ (Corona Vaccination) ক্যাম্পের জের। এবার রাজ্যে টিকাকরণ ক্যাম্প করতে মানতে হবে কড়া নিয়মাবলি। এবার থেকে স্বাস্থ্যভবন (WB Health Department) কিংবা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের ক্যাম্প আর তৈরি করা চলবে না। সঙ্গে কার্যকর হল আরও বেশকিছু নিয়ম।
কসবাকাণ্ডের পর দু’টি কমিটি তৈরি করেছিল রাজ্য। একটি কমিটির কাজ, কোথা থেকে এই টিকা এল, তা খুঁজে বের করা। ভুয়ো টিকা কীভাবে আটকানো যায়, তা ঠিক করাই এই কমিটির কাজ। সেই অনুযায়ী শনিবার কোভিড টিকাদানের ক্যাম্প সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দূরত্ব ভুলে BJP’র সঙ্গে ফের ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন রাজীব, জোড়া চিঠি পাঠালেন নেতৃত্বকে]
কী কী নিয়ম আনল রাজ্য?
- কোনও হাসপাতাল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অথবা কোনও বেসরকারি সংস্থা টিকা-ক্যাম্পের আয়োজন করতে চাইলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অথবা কলকাতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের ADHS অনুমতি নিতে হবে
- জমা দিতে হবে ফোন নম্বর-সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য।
- লিখিতভাবে জানাতে হবে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট সংক্রান্ত সব তথ্য।
- কোথা থেকে টিকা পাচ্ছে ওই হাসপাতাল বা বেসরকারি সংস্থা, তাও বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।
- সমস্ত তথ্য সঠিক হলে, তবেই ভ্যাকসিন ক্যাম্প আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে।
- স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সংস্থার তরফে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
- প্রতিদিন কত টিকা দেওয়া হল, কত টিকা মজুত রয়েছে, টিকারকত ডোদ নষ্ট হল তার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
- কত জনকে টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে, ক’জন একটি ডোজ নিয়েছেন তা সপ্তাহ শেষে লিখিত আকারে জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরে।
- থানা থেকেও ছাড়পত্র নিতে হবে।
- শুধু তাই নয়, এবার থেকে কোউইনে নাম নথিভুক্ত ছাড়া টিকা মিলবে না।
কসবা কাণ্ডের জেরে টিকাকরণ নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুরসভাও। তারা এদিন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। এদিকে জাল টিকা কাণ্ডে ধৃত তিনজনকে এদিন আদালত তোলা হয়। ২ জুলাই অবধি তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।