সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেমন মেধা, তেমন নম্বর। মুড়ি-মুড়কির এক দর হতে পারে না। এই মন্ত্রেই উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary) প্রশ্নপত্র সাজাতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আবার সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও যাতে উত্তর দিতে পারে, সেই দিকটাও খেয়াল রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ, মুড়ি-মিছরির একদর যাতে না হয়ে যায় সেটাও দেখা হয়েছে। আবার সবার যাতে খুব খারাপ ফলাফল না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মমতার রাজনৈতিক উত্থানকেন্দ্র যুবনেত্রীর লড়াই, শক্তিশালী CPM প্রার্থীও, যাদবপুরে জিতছে কে?]
তাই এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ প্রশ্ন সহজ, সাধারণ হবে। ৩০ শতাংশ প্রশ্ন সামান্য জটিল হবে। এবং ২০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে উচ্চমেধার জন্য। এক্ষেত্রে ‘অ্যাচিভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সংসদের তরফে। বলা হয়েছে, তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে এই ২০ শতাংশ প্রশ্ন। যা পডুয়াদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তি ও বিশ্লেষণাত্বক দক্ষতাও পরখ করবে।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যালটের সময় কী হত আমরা জানি’, ইভিএম-ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার দাবিতে জানাল সুপ্রিম কোর্ট]
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের থেকে চালু হচ্ছে সেমেস্টার ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দু’টি করে সেমেস্টার থাকবে। সংসদ আগেই জানিয়েছিল, প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা এমসিকিউ-ভিত্তিক হবে। যে প্রশ্নগুলির উত্তর ওএমআর শিটে চিহ্নিত করতে হবে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু, প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের এমসিকিউ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সংসদ সভাপতি বলেন, “মাল্টিপল চয়েস বলতে সাধারণত আমরা বুঝি, একটা প্রশ্ন থাকবে ও তার উত্তর দেওয়ার জন্য চারটে অপশন থাকবে। কিন্তু, অবজেকটিভ টাইপ প্রশ্ন অনেক ধরনের হয়। যেমন, শূন্যস্থান পূরণ করতে বলা হয়। দেওয়া হয় বিকল্প উত্তর। সেগুলির মধ্যে কোনটি শূন্যস্থান পূরণের সঠিক উত্তর তা বেছে নিতে হয় পরীক্ষার্থীকে।”