সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বা বিহার নয়। এবার খাস কলকাতায় রামভক্তদের দাপাদাপি। এবার পার্ক সার্কাসে রামভক্তদের হাতে আক্রান্ত এক মুসলিম যুবক। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে রাজি না হওয়ায় এক মুসলিম যুবককে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক ওই যুবকের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোরাজোরি শুরু করে একদল যুবক। কিন্তু, তিনি তাতে সম্মত না হওয়ায়, তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকেই ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে অস্বীকার করা নাকি অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে সংশয়ে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘টার্গেট মিস করিনি’, জোরাল দাবি বালাকোটে হামলাকারী বায়ুসেনার পাইলটের]
হাফিজ মহম্মদ শাহরুখ হালদার নামের ওই যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার তিনি কোনও কাজে হুগলি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কলকাতা যাওয়ার পথে একদল রামভক্ত তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ করছেন পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ। ওই যুবকের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে একদল যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছিলেন। ট্রেন ঢাকুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর হঠাৎই ওই দলটির কয়েকজন সদস্য তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবকের অভিযোগ, ট্রেনে কামরা ভরতি লোকের সামনে তাঁকে মারধর করা হলেও কেউ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত পার্ক সার্কাস স্টেশনে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘হেলমেট না পরলে গুলি করব’, যোগীর রাজ্যে পুলিশের নৃশংসতার ভিডিও প্রকাশ্যে]
শাহরুখ বলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনে নামার পর স্থানীয়রা তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাঁদের সাহায্যেই হাসপাতালে যান তিনি। প্রথমে তিনি তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, এক্ষেত্রে তাঁকে জিআরপির কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক সামান্য আহত হয়েছিলেন। তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে অস্বীকার করায় নয়, জায়গা দখল নিয়ে ঝামেলার জেরে চলন্ত ট্রেনে ওঁর উপর হামলা হয়েছে। ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
The post ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে অস্বীকার, খাস কলকাতায় ট্রেন থেকে ধাক্কা মুসলিম যুবককে appeared first on Sangbad Pratidin.