শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ করল সিপিএম (CPM)। রবিবার চন্দ্রকোনার জাড়া গ্রামে এই নির্বাচনী সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য যুব নেতা শতরূপ ঘোষ, সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh), জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা। সিপিএমের রামজীবনপুর এরিয়া কমিটির ডাকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন শুধু জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ টি বুথের প্রার্থী, কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে সভা হয় বলে জানা গিয়েছে।
২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের পর এবারই প্রথম চন্দ্রকোনা (Chandrokona) ১ নম্বর ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সব ক'টি আসনে প্রার্থী দিতে পারল সিপিএম। তাই সেই ২২ টি বুথের কর্মী, সমর্থকদের নিয়েই এই সভা বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ রায়। দু'হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক নিয়ে এই সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য, তরুণ ও জনপ্রিয় মুখ শতরূপ ঘোষ (Satarup Ghosh) রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, ‘‘রাজ্যে যত দুর্নীতি হয়েছে, তার মাথা এই দু'জন। এই দু'জনের অজান্তে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে এমন কোনও ধরনের দুর্নীতি হয়নি। তৃণমূলের এই দুই শীর্ষ নেতা রাজ্যের মানুষকে শুধু নয়, তৃণমূলের অগনিত কর্মী সমর্থকদেরও ভুল বুঝিয়ে চলেছেন। যেদিন এই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ভুল বুঝবেন তাঁরাই এঁদেরকে লাঠি নিয়ে তাড়া করবেন। মিলিয়ে নিবেন আমার কথা।’’
[আরও পড়ুন: গ্যাল গ্যাডটকে নাকানি চোবানি খাওয়ালেন ‘ভিলেন’ আলিয়া! হলিউডে দুর্ধর্ষ হাতেখড়ি, দেখুন]
জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘ শুধু এই চন্দ্রকোনায় নয়, গোটা জেলায় আমরা এবার ভাল ফল করব। এটা ২০১৮ সাল নয়। এটা ২০২৩ সাল যে বুথ থেকে মেরে তাড়িয়ে দেবে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তৃণমূলের মোকাবিলা করার মতো আমরাও প্রস্তুত হয়েছি।’’ সমাবেশের আগে মিছিলে অংশ নেন শতরূপ ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতারা।
[আরও পড়ুন: বাঙালি কনের গলাতেই মালা দিলেন সানিপুত্র করণ দেওল, দেখুন বিয়ের ছবি-ভিডিও]
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর জেলযাত্রা থেকে শুরু করে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন বাম আমলে দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষ। দলের মধ্যে বারবার বিতর্কে জড়িয়ে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ডও হয়েছিলেন। উসকানিমূলক ভূমিকার জন্য হাই কোর্ট তাঁকে মেদিনীপুরে নিজের গড়ে প্রবেশই করায় ছিল 'সুপ্রিম' নিষেধাজ্ঞা। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) তাঁর উপর থেকে গড়বেতায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। তারপরই নিজের গড়ে ফিরে ফের স্বমহিমায় রাজনীতি শুরু করেন। তাঁকে জেলা সম্পাদকও করা হয়। আর পঞ্চায়েত ভোটেও তাঁকেই প্রচারে নামাল লাল পার্টি।