বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোট শুরু হতে না হতেই অশান্ত কোচবিহার (Cooch Behar)। রাতে তুফানগঞ্জের পর শনিবার সকালে ফলিমারি এলাকায় পিটিয়ে খুনের (Lynching) অভিযোগ উঠল। মৃত্যু হয়েছে মাধব বিশ্বাস নামে পোলিং এজেন্টের। তিনি কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, বুথের ভিতরে গুলি চলে। তারপর তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম বিজেপি প্রার্থীও। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার গভীর রাত থেকেই কোচবিহার জেলার নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলেছিল। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটবলগার ৬৮ নম্বর বুথে কাজ সেরে ফিরছিলেন ২ তৃণমূল (TMC) কর্মী। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন গণেশ দাস ও কানু দাস নামে দুজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গণেশের। আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কানু দাসকে। এরপর শনিবার সকালে ফলিমারিতে বিজেপি এজেন্টের মৃত্যু হল। অন্যদিকে, ফলিমারির ৪/৩৮ বুথে বোমার আঘাতে সিপিএম প্রার্থী অনিতা অধিকারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁকে কোচবিহারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে হানা কলকাতা পুলিশের, হাতেনাতে গ্রেপ্তার কুখ্যাত ল্যাপটপ চোর!]
অন্যদিকে, মাথাভাঙা (Mathabhanga) ১ ব্লকেও অশান্তি, ভাঙচুরের অভিযোগ। বৈরাগীর হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫/৬৬ নং বুথে বিজেপির প্রার্থী, এজেন্ট-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এখানকার বাসিন্দা, জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি বর্মনের অভিযোগ, সারারাত ধরেই এলাকার বাড়িগুলিতে ভাঙচুর হয়েছে। হাত-পা ভেঙে গিয়েছে এক মহিলার। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশকে ফোন করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। ভোট আদৌ কীভাবে হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী।