রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নন্দীগ্রাম কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রশ্ন তুললেন, যদি অধিকারীরাই সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে, তবে কেন তিনি কোনও পদক্ষেপ নিলেন না? গত দশ বছরে তদন্ত হল না কেন? স্বজনহারাদের জন্য কী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে দাবি করলেন, হারবেন বুঝে গিয়েছেন বলেই এখন এসব বলছেন।
আহত হওয়ার ১৮ দিন পর রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়া বাজারে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে একেবারে সরাসরি অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে গদ্দার সম্বোধন করে বললেন, ‘‘সেদিন যে পুলিশ ঢুকবে, গন্ডগোল হবে, এটা কি সেই গদ্দার জানতেন না? কতবার বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছিল? বাপ-ব্যাটার অনুমতি ছাড়া পুলিশ ঢুকতে পারত না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তখন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। আমাকে যখন কোলাঘাটে আটকানো হল, তিনি বলেছিলেন খবর আছে আমাকে পেট্রোল বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। আমি যেন ফিরে যাই। সেদিনও তো ওরা (অধিকারীরা) কেউ ছিল না। আমি তখন তেখালিতে। গ্রামের ভিতর থেকে বড় বড় ইট মারছে। তখন ওরা কোথায় ছিল? কোনও বাপ-বেটাও ছিল না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। পালটা দেন শিশির অধিকারী।
[আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয়ে যুবককে চড় মেরে বিতর্কে বাবুল সুপ্রিয়, কী সাফাই দিলেন বিজেপি প্রার্থী?]
সোমবার নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্যে পালটা প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দশ বছর ক্ষমতায় থেকে নন্দীগ্রাম কাণ্ডের তদন্ত হয়নি কেন? শুভেন্দুবাবুরা জলে-জঙ্গল থেকে ওঁকে জিতিয়েছেন। হারবেন বুঝে গিয়েছেন বলেই অভিযোগের রাস্তায় হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করা ছাড়া ওঁর কোনও কাজ নেই। যে পুলিশ অফিসার গুলি চালায় সে এখন তৃণমূলে। কতজনকে সাজা দিয়েছেন মমতা? উনি সেটিং করেছেন।” নন্দীগ্রামের স্বজনহারাদের জন্য কী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? সে প্রশ্নও এদিন তোলেন দিলীপ ঘোষ।