দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভোট মিটে গিয়েছে ১০ এপ্রিল। এখনও আতঙ্কের পরিবেশ সোনারপুর উত্তর (Sonarpur Uttar) বিধানসভা এলাকার খেয়াদহ অঞ্চলের চামুরহাট অঞ্চলে। তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বিজেপি (BJP) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন, সন্ত্রাসের ভয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন এক গৃহবধূ।
স্থানীয় গৃহবধূ সন্ধ্যা মণ্ডল ও ললিতা মাকালের মুখে এখনও আতঙ্কের ছবি স্পষ্ট। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে ঢোকে একদল দুষ্কৃতী। লাথি মেরে জানলা, দরজা ভেঙে দেয়। বাড়িতে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। মহিলাদের মারধর করে। শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। শুধু ধর্ষণ নয় গৃহবধূর কোলের সন্তানকে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ সন্ধ্যা মণ্ডলের। সেই কারণেই ভয়ে ওই গৃহবধূ সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কোনওদিন মা বলে ডাকবে না!’, ছেলে আনন্দর শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন বাসন্তী দেবী]
বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তরুণ অধিকারী। তাঁর পালটা অভিযোগ, তৃণমূলই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নির্বাচনের (West Bengal Election) দিন এই অঞ্চলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়। মারধর করা হয়েছে মহিলাদেরও৷ যদিও এই অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে৷
রবিবার রাতে দুই পক্ষই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে৷ তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নিয়মিত চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট মিটলেও এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে৷ সকাল-বিকাল তাঁরা বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় টহল দিচ্ছেন৷