shono
Advertisement

স্কুলের অস্তিত্বই নেই, অথচ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা!

গোটা বিষয়টি জেনে বিস্মিত আদালতও।
Posted: 12:11 PM Jan 12, 2021Updated: 12:32 PM Jan 12, 2021

শুভঙ্কর বসু: প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। প্রথম ধাপের বাছাই পর্বে উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। যার সুবাদে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার ছাড়পত্র মিলেছিল। কিন্তু বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক হয়ে ওঠা হল না। অবশেষে বাধ্য হয়েই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র কুইলা।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৭ সালে ‘প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট’-এ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০১৯-এর ২১ আগস্ট তাঁকে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Head Master) পদে নিয়োগের সুপারিশপত্র পাঠান স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) চেয়ারম্যান। বাস্তবে দেখা যায় চিঠিতে যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁর নাম সুপারিশ করেন, সেই স্কুলেরই কোনও অস্তিত্ব নেই! কমিশনের তরফে চিঠিতে গোপালবাবুকে জানানো হয়, ঝাড়গ্রামের মুরার আশুমুরার আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। স্কুলটি বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের রামগড়ে। গোপালবাবু ওই এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজলেও ‘মুরার আশুমুরার আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে কোনও স্কুল খুঁজে পাননি। বাধ্য হয়ে তিনি ফের কমিশনের দ্বারস্থ হন।

[আরও পড়ুন: সাতসকালে বেহালার প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা]

একাধিকবার কমিশনের নজরে আনা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যাখ্যা বা সদুত্তর দিতে পারেনি বলেই জানান গোপালবাবু। অবশেষে বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে মামলার শুনানিতে বিষয়টি উত্থাপন করে ব্যাখ্যা তলব করেন গোপালবাবুর আইনজীবী উষা মাইতি। বিচারপতি চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, আদৌ ওই নামের কোনও স্কুল রয়েছে কি না জানাতে হবে কমিশনকে। যদি কোনও স্কুল থেকেও থাকে তাহলে সেখানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে কি না তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। ১৮ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় আত্মঘাতী পানশালায় কর্মরত যুবতী, দেনার দায় নাকি অন্য কারণ, ঘনাচ্ছে রহস্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement