স্টাফ রিপোর্টার: ভুটান সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সে দেশে ঢুকতে পারলেন না রাজ্যের একদল পর্যটক। শুক্রবার অনলাইনে স্ক্যানিং করে জলগাঁও দিয়ে প্রবেশের অনুমতিও নেন তাঁরা। ফুন্টসিলিং যাওয়ার জন্য তাঁরা যখন ভুটানে ঢুকেছিলেন, তখন সে দেশের গাড়ি চালকরা জানান, ভারতের গাড়ি নয়, যেতে হবে তাঁদের গাড়িতে। ফুন্টসিলিং যেতে জনপ্রতি দিতে হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা। অত্যাধিক ভাড়া চাওয়ায় ওই পর্যটকরা জানান, তাঁদের চারটি গাড়ি রয়েছে, হাজার চারেক টাকা নিয়ে গাড়িগুলি ঢুকতে দেওয়া হোক। যদিও এ অনুরোধ শোনেননি সেখানকার চালকরা।
ভুটানের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও এই আচরণে ভারতীয় গাড়ি চালকরা ক্ষুব্ধ হন। শুরু হয় তর্কাতর্কি। এরপর ভুটানি চালকরা দল বেঁধে মারধর করে ভারতীয় গাড়ি চালকদের। আতঙ্কে পর্যটকরা ভুটানে ঢোকেননি। জলগাঁও থানায় অভিযোগ জানিয়ে চলে আসেন। বালির এই ট্যুর সংস্থার মালিক সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পাঁচ দিনের ট্যুরে এসেছিলেন তাঁরা। হাওড়া, হুগলি, কলকাতার ২৬ জন পর্যটক নিয়ে এসেছেন। ভুটান ছাড়াও লাভাতে এরকম সিন্ডিকেট রয়েছে, যেখানে তাঁদের গাড়ি নিতে হবে। লাভা থেকে সামান্য দূরত্বে কোলাখাম, ছাঙ্গে ওয়াটার ফলসে যেতে জনপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা নেয়।" সিন্ডিকেটের এই দৌরাত্ম্যে পর্যটন শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে বলে তিনি মনে করেন।
এই একই দিনে ট্যুর সংস্থার সঙ্গে অসম ও মেঘালয় ভ্রমণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কলকাতা-সহ আশপাশের অসংখ্য পর্যটক। ১৯ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত তাদের নির্ধারিত ভ্রমণ পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো টাকাও নিয়েছিল কলকাতা হাজরা রোডের একটা ভ্রমণ সংস্থা। শনিবার তাঁদের ফেরার কথা থাকলেও ট্যুর সংস্থাটি শুক্রবার ট্যুর বাতিল করে। ফলে চরম হয়রানির স্বীকার হন অসংখ্য মানুষ। দলে অধিকাংশই অতি প্রবীণ হওয়ায় স্বভাবতই তারা বিপাকে পড়েন। ট্যুর অপারেটরদের দাবি, দলের মানুষজনের খারাপ ব্যবহারে তাদের এই সিদ্ধান্ত। কলকাতার বাসিন্দা সোমনাথ রায় অভিযোগের সুরে বলেন, মাঝপথে ট্যুর বাতিল করে দেওয়ায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। কোথায় হোটেল পাবেন, তা বুঝতে পারছেন না। এমনকী, সংস্থার কেউ ফোন ধরছে না। ফলে তাঁরা চরম বিপদের মধ্যে পড়েছেন।