নব্যেন্দু হাজরা: আপাতত চলছে তিনটি রুটে। তবে ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি রুটে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ৩০ জন সিটিসি কর্মীকে নতুন করে ট্রাম চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম সংরক্ষণ করতে রাজ্য কি পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা, ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহণ দপ্তর, মেট্রো শীঘ্রই একটি বৈঠক করবে। আরও কোন কোন রুটে ট্রাম চালানো সম্ভব তা সেখানে ঠিক হবে। আমরা সঠিক সময়ের মধ্যেই আদালতে সেই তথ্য জমা দেব। ইতিমধ্যেই আমরা ৩০ জনকে ট্রাম চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাছাড়া এসপ্ল্যানেড থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য হেরিটেজ রুটও চালু হবে।’’
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, একের পর এক ট্রামচালক অবসর নেওয়ায় সেই সংখ্যা কমতে কমতে জনা চল্লিশের নিচে এসে ঠেকেছে। তাই রাজ্য চাইলেও এখনই বন্ধ থাকা কোনও রুট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন রুট চালু করতেই ৩০ জন সিটিসি-র কর্মীকে ট্রাম চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরা প্রত্যেকেই ট্রামের ট্র্যাক ও ওভারহেড তারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁদেরই তিন মাসের প্রশিক্ষণ চলছে ধর্মতলায়।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য পঞ্চায়েত! জুনে ফের রাজ্যে আসতে পারেন শাহ, শুভেন্দুদের জেলায় জেলায় ঘোরার নির্দেশ]
সম্প্রতি ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং’ – নামে একটি সংগঠনের তরফে ট্রামের সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। তারই প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘ট্রাম একটা হেরিটেজ। শুনেছি কলকাতা ট্রাম পুরস্কার পেয়েছে। এটা নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে সেটা জানা দরকার।’’ এরপরেই আদালত আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যকে এই ব্যাপারে তাদের নীতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।
বর্তমানে ধর্মতলা-শ্যামবাজার, টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাট-ধর্মতলা রুটে ট্রাম চলছে। ধর্মতলা-খিদিরপুর রুটটিকেও চালুরও চিন্তাভাবনা চলছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘ট্রাম চালানোর ক্ষেত্রে অনেকের ছাড়পত্র প্রয়োজন। সেবিষয়েই আলোচনা হবে। কলকাতার ঐতিহ্যের সঙ্গে ট্রাম জড়িয়ে রয়েছে। ফলে আমরা তাকে সংরক্ষণ করবই। আদালতকেও যথাসময়ে সব জানাবো।’’