কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: বাবা হকার। আর্থিক স্বচ্ছলতা পরিবারে নেই বললেই চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক সংকট। তবে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই থামেনি। দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই চালিয়ে পড়াশোনা করে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র আশিক ইকবাল। সাফল্যও পেয়েছে লড়াকু। হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছে সে। আশিক ইকবালের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দরিদ্র পরিবারের কৃতী ছাত্র আরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। ভবিষ্যতে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন বুনছে সে।
হাই মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৫ হাজার ২০৬ জন। পাশ করেছে ৩১ হাজার ০১৪ জন। শতকরা হিসাবে পাশের হার ৮৮.০৯ শতাংশ। এবার হাই মাদ্রাসায় ছাত্রীদের টেক্কা দিয়েছে ছাত্ররা। হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম আশিক ইকবাল। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ডোমকলের কোমনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্র নাসিরউদ্দিন মোল্লা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। তৃতীয় হয়েছে মালদহের মহম্মদ মুক্তাদুর রহমান। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৪। রাজ্যে পঞ্চম হয়েছে লালগোলা আইসিআর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সাদিয়া খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭০।
[আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমুদ্র শক্তি’তে ঘাবড়েছে চিন!]
শনিবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দান লাগোয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন দপ্তর থেকে জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসায় মার্কশিট তুলে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিদর্শক অমর কুমার শীল, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অন্যতম সদস্য মহম্মদ আনসার আলি-সহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। হাইমাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলে সফল প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।