নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। এবার রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আওতাধীন ৩৭ লক্ষ বাড়িতে বসতে চলেছে স্মার্ট মিটার। তার ফলে উপকৃত হবেন বহু গ্রাহক। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অরূপ বিশ্বাস এদিন বিজেপিকে কার্যত খোঁচা দিয়ে জানান, গুজরাটে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। বাম জমানায় বাংলায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা ছিল। তবে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লোডশেডিং আর হয় না। বর্তমানে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (WBSEDCL) গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২০ লক্ষ। সিইএসসি’র (CESC) গ্রাহক ৩৩ লক্ষ। রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আরও নয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হবে। ৮৭টি সাবস্টেশন বসানো হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে আরডিএসএস প্রকল্পের আওতায় মোট ১১.৮৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলেই জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। প্রকল্পের বরাদ্দ ৬০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ইছামতীতে লঞ্চ চালালেন মমতা, লাঞ্চে রেশনের চাল আর ওল-ট্যাংরার ঝোল]
কী এই স্মার্ট মিটার? বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, যে বাড়িগুলিতে স্মার্ট মিটার থাকবে তাঁদের আর বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে হবে না। কিংবা মিটার রিডিংয়ের সময়ও কাউকে ওই বাড়িতে যেতে হবে না। বিদ্যুৎ দপ্তরে বসেই এই সমস্ত কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। তার ফলে কাজে গতি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনই আরও উন্নত পরিষেবাও পাবেন গ্রাহকরা।
উল্লেখ্য, সদ্যই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবির গিয়ে বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারেন গ্রাহকরা। নবান্ন সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে তারা তা অর্ধেক টাকায় মিটিয়ে দিয়ে চাপমুক্ত হওয়ার সুযোগও পেয়েছেন। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াতেও কর্পোরেট স্টাইলেই হাঁটছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।