সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পায়ের যন্ত্রণা আছেই, শরীরও ক্লান্ত। তবু ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়ানোয় ক্লান্তি নেই। কারণ, এবারও ২৯৪ কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদলের তরফে ভোটের কাণ্ডারি তিনিই – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ঘুরে শুক্রবার তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে তিন সভায় হাজির। এগরায় (Egra) ছিল প্রথম সভাটি। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী তরুণ মাইতির প্রচারে সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেখান থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ”বিজেপিকে চাই না, মোদির মুখও দেখতে চাই না আমরা।” নির্বাচনী লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে কর্মী, সমর্থকদের কাছে এটুকু কথাই কার্যত ভোকাল টনিক হয়ে উঠল।
রোজ রোজ বিজেপি (BJP) বিরোধী আক্রমণের জন্য নতুন অস্ত্র বের করায় কার্যত সিদ্ধহস্ত তিনি। কারণ, বিজেপিকে গোড়া থেকেই মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে যখন রাজ্যের ক্ষমতা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূল, তখন তাঁর আক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। জেলায় জেলায় গেরুয়া শিবিরের সদস্যদের বিঁধতে নানা প্রসঙ্গ টেনে আনছেন তিনি। এদিন এগরার সভা থেকে দলত্যাগী তৃণমূলীদের আক্রমণ করে মমতা বলেন, ”কয়েকটা গদ্দার ছিল। তারা বিজেপিতে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। দুর্যোধন, দুঃশাসন, মীরজাফরদের দরকার নেই। বিজেপিকে দরকার নেই। আমরা মোদির মুখও দেখতে চাই না। বিজেপিকে একটাও ভোট নয়।” বাঁধলেন নয়া স্লোগান – ‘লুট, দাঙ্গা, মানুষ খুন/বিজেপির তিনটি গুণ।’ এসব বক্তব্যের নিশানা যে শুভেন্দু অধিকারী তা সকলের কাছেই স্পষ্ট। শুভেন্দুর গড়ে বসেই তাঁর বিরুদ্ধে আরও তীক্ষ্ম যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োগ করলেন তৃণমূল নেত্রী।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে রাস্তা বন্ধ, ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী]
এদিনের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পূর্ব মেদিনীপুরেরই নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। রাজ্যে শিক্ষকদের শূন্যপদের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। রাজ্যের বেকারত্ব দূর করতে, শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ফের ক্ষমতায় এলে শিক্ষক নিয়োগে আরও জোর দেওয়া হবে। এই ঘোষণায় খুশি শিক্ষাক্ষেত্রে কেরিয়ার তৈরি নিয়ে উচ্চাকাঙ্খী যুবক, যুবতীরা। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পটাশপুরেও জনসভা করেন।