সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavorus) প্রকোপ কমলেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকরের পদ্ধতি শুরু হবে। সোমবার ঝটিকা সফরে শিলিগুড়িতে এসে একুশের দামামা বাজিয়ে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবার তার পালটা কড়া জবাব দিতে শুরু করলেন তৃণমূল ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, CAA ইস্যুতে কাগজ দেখতে চাইলে সোজা দরজা দেখিয়ে দেওয়া হবে। কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির বক্তব্য, এক বছর পরও CAA কার্যকর করার নিয়মকানুনই স্থির করতে পারল না কেন্দ্র।
দ্বিতীয় মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই CAA কার্যকর করতে মরিয়া। সেইমতো বিল পাশ হয়ে তা আইনেও পরিণত হয়েছে। ধাপে ধাপে কার্যকর করার পদ্ধতি চলছিল। মাঝে করোনা ভাইরাসের দাপটের সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু সামনেই আবার রাজ্যে একুশের নির্বাচনী লড়াই। ফলে CAA ইস্যু উসকে উঠেছে বাংলায়। রাজ্যের শাসকদলই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করার সবচেয়ে বেশি বিরোধী। অন্যদিকে, এ রাজ্য মতুয়া-সহ একাধিক ওপার বাংলার মানুষজনের বসবাসের জন্য আইন কার্যকর হওয়া জরুরি বলে মনে করে বিজেপি। সুতরাং, উনিশের লোকসভার মতো একুশের নির্বাচনেও যে CAA ইস্যু হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’, বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপেই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা প্রশাসনের]
এই অবস্থায় পুজোর আগে সোমবার উত্তরবঙ্গে ঝটিকা সফরে এসে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তো আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু সেটা কার্যকর করলেই হল। এর জন্য আইনের বিধিও তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু, করোনার কারণে সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই মহামারীর প্রভাব কমলেই বিধি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আরও আপনারাও খুব তাড়াতাড়ি এর সুবিধা পাবেন।’ এর পালটা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra) টুইট কের স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, ”কাগজ দেখতে চাইলে, দরজা দেখিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে বাড়ছে সংক্রমণ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বেসরকারি হাসপাতালেও বাড়ছে শয্যা]
অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরিও (Adhir Ranjan Chodhury) নিয়ে বিঁধেছেন জেপি নাড্ডাকে। তিনি টুইটারে লেখেন, এক বছর হয়ে গেল CAA পাশ হয়েছে, অথচ কেন্দ্র এখনও ঠিকমত নীতি প্রণয়ন করতে পারল না কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ঠকানো হচ্ছে বলেও সুর টুইটারে অভিযোগ তুলেছেন অধীর চৌধুরি।