নব্যেন্দু হাজরা: গতবছরের শেষে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল বুলবুল। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল বহু মানুষকে। এবার ধেয়ে আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের একটি নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। শুক্রবার তা অতি গভীর হবে। শনিবার দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যা আছড়ে পড়তে পারে বাংলার উপকূলে। থাইল্যান্ড এই ঝড়ের নাম দিয়েছে ‘আমফান’। রবিবার পর্যন্ত এই আমফান উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। সোমবার এটি অভিমুখ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে বলে সূত্রের খবর।
আলিপুর হাওয়া জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে আমফানের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। রবিবার আমফানের গতি বেড়ে হবে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সোমবার এটি মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। সোমবারের গতিবেগ মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকতে পারে ৯০ কিলোমিটারের কাছাকাছি এবং অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে ৬০ কিলোমিটার। ১৯ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার এটি আরও একটু এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। এই সময়ে উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হবে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন না’, সরব ধনকড়]
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, বুধবার নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় আমফান স্থলভাগের প্রবেশ করতে পারে। তবে কোথায় কিভাবে স্থলভাগের প্রবেশ করবে তা এখনও জানাতে পারা যায়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে এ রাজ্যে। মঙ্গলবার উপকূলের জেলা মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৫৪ পরগনার কিছু অংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের ঝড়ো হাওয়া বইবে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হবে বুধবার। বিপদের আশঙ্কা করে মৎস্যজীবীদের সোমবার থেকে উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা গভীর সমুদ্রে আছেন তাদের ১৭ তারিখ রাতের মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
[আরও পড়ুন: সাবাশ পুজোওয়ালা! লকডাউনের মধ্যেই শিল্পীর হাতে অগ্রিম তুলে দিচ্ছে কলকাতার এই ক্লাব]
The post বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’, বাংলার উপকূলে দ্রুত আছড়ে পড়ার আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.