নিরুফা খাতুন: কয়েকদিনের বৃষ্টি শেষে ফের বঙ্গে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে গরমের। মঙ্গলবার থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল, আজ, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্রার কমার আশা নেই। বরং আর্দ্রতাজনিত কারণে চরমে পৌঁছবে অস্বস্তি। শুষ্ক আবহাওয়া আর গরমের দাপট বাড়বে। উপকূল ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে উঠবে। বেলা বাড়লে সূর্যের তাপে আরও গরম অনুভূত হবে। আজ সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি । গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৮ থেকে ৮৮ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: বিজয়ের আগাম শুভেচ্ছা! বিপুল প্রশংসায় ভরিয়ে অর্জুন সিংকে বাংলায় চিঠি মোদির]
চলতি সপ্তাহেই পশ্চিমের জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরবে। কোথাও কোথাও ৪২ ডিগ্রিও ছুঁতে পারে তাপমাত্রা। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বেলা বাড়লে বাড়বে গরম। উপকূলের কয়েকটি জেলাতে সন্ধ্যা বা রাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতেও পারে। তবে দিনে-রাতে অস্বস্তি কাটবে না। শনিবারের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে জেলায় জেলায়। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে শুক্রবার, ১৭ই মে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশ ও বিদর্ভ এবং আরব সাগরে। দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হবে। যা থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও সেই সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত খুব কম বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ আন্দামান সাগর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছে যাবে ১৯ শে মে।
এদিকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়িতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাড়বে গরম। শনিবারের মধ্যে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। বৃষ্টি হলেও পাহাড়েও গরমের ছোঁয়া অনুভূত হবে। শুক্রবার বৃষ্টি একটু বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।