নব্যেন্দু হাজরা ও টিটুন মল্লিক: শীতবিলাসীদের জন্য সুখবর। সক্রিয় উত্তুরে হাওয়া। তার জেরেই কমল শহরের তাপমাত্রা। আগামী কয়েকটা দিন শীতের আমেজ বেশ ভালভাবেই টের পাওয়া যাবে। সোমবার চলতি মরশুমের শীতলতম দিন, এমনটাই খবর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে।
জানা গিয়েছে, কাশ্মীর থেকে উত্তর-পশ্চিম হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। তার প্রভাবেই কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৭ ডিগ্রি থাকবে বলেই খবর। বাতাসে শুষ্কতার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ত্বকও শুষ্ক হতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: কাটোয়ায় চড়া সুদে ঋণের কারবারীদের ‘দাদাগিরি’, আতঙ্কে আত্মহত্যার ভাবনা স্কুলশিক্ষকের]
পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মতো জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। সোমবার বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকটা দিন তা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, অন্তত তিন থেকে চারদিন এমন শীতল আবহাওয়া বাংলায় থাকবে। তবে এ শীত চিরস্থায়ী নয়। আবার গরমের দাপট বাড়বে। তাঁর হয়তো শীতের স্থায়ী ইনিংস শুরু হতে পারে।
এদিকে শীত মানেই জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া এবং পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া৷ এবারও সেই ট্রেন্ড বজায় রেখেছে আমবাঙালি৷ গত রবিবারও আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বিড়লা তারামণ্ডল, মিলেনিয়াম পার্কের মতো স্থানগুলিতে ভিড় জমেছে।
ছুটির দিনে অনেকেই শীতের উপস্থিতি টের পেয়েছেন। সোমবার সকালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আলমারি, দেরাজ থেকে হালকা শীতের পোশাকগুলি বের হতে শুরু করেছে। শীতের এই আভাস কয়েকটা দিনের জন্য হলেও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি এখনই সেরে রাখছেন অনেকে। কেউ অনলাইনে শীতের পোশাক কিনে রাখছেন, কেউ আবার ধর্মতলা কিংবা নিউমার্কেটের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অনেকের বাড়িতে আবার পুরনো লেপতোষক বার করে রোদে দেওয়ার পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে।