নিরুফা খাতুন: নতুন সপ্তাহেও দুর্যোগের কালো মেঘ রাজ্যে। বিক্ষিপ্তভাবে চলবে ঝড়-বৃষ্টি। দাপট দেখাবে কালবৈশাখীও। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরনোর আগে ব্য়াগে ছাতা রাখতে ভুলবেন না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। বুধবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রবিবার দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বইতে পারে কালবৈশাখীও। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্প সময়ের বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বুধবার উপরের দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে।
দিন কয়েক ধরে গরমে হাসফাঁস করছিল বঙ্গবাসী। ‘দমবন্ধকর’ সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা রেহাই দিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির প্রভাবে সামান্য কমেছে তাপমাত্রা। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পারদ আরও কিছুটা নামতে পারে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
কবে, কোথায় ঝড়-বৃষ্টি?
আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
সোমবার: দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার: সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা।
বুধবার: বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। তবে উপকূলের ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি; সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলাতে।
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
উত্তরবঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায়। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।