নিরুফা খাতুন: মে মাসে ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী থাকবে বাংলা? আশঙ্কার মেঘ ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড় রেমালের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সাগরে। শুক্রবার থেকে উত্তাল হবে সমুদ্র। বৃহস্পতিবার মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী সাতদিন এই দুর্যোগ চলবে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, "বুধবার দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। শুক্রবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হবে। এই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে । তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: ‘মাই-বাপ’ তত্ত্বে বাজিমাত তেজস্বীর! বিহারে মোদির জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং INDIA?]
সোমবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে। বৃহস্পতিবার কোনও সতর্কতা না থাকলেও শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর,শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলের দুই জেলায়। ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় বাতাস বইবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ,পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া নদিয়া ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়াতে।