সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচনের দ্বিমুখী লড়াইয়ে তাঁরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। বুধবারই শশী থারুর (Shashi Tharoor) অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিছু কংগ্রেস নেতা খোলাখুলিই যেভাবে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে (Mallikarjun Kharge) সমর্থন করছেন তা তিনি মানতে পারছেন না। বিষয়টিকে ‘খেলার মাঠে অসাম্য’ বলে উল্লেখও করেছেন অভিমানী শশী। এবার আসরে অবতীর্ণ হতে দেখা গেল খাড়গেকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ”আমরা দুই ভাই।”
ঠিক কী বলেছিলেন শশী থারুর? তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ অভিমান উগরে জানিয়েছিলেন, ”সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে। আর আমরা সকলেই সেটা জানি। আসল সমস্যাটা হল দলের সভাপতি নির্বাচন গত ২২ বছরে হয়নি।” তিনি বলেন, ”বহু জায়গায় দেখেছি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও অন্য কংগ্রেস নেতা এবং বড় বড় নেতারা কীভাবে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে বসছেন, কথা বলছেন। একজন প্রার্থীর সঙ্গে এসব হচ্ছে, অথচ উলটো দিকে আমার সঙ্গে কিন্তু হচ্ছে না।” তাঁর দাবি তিনি রাজ্যের কংগ্রেস কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে কমিটির প্রধানরা কেউ সেখানে ছিলেন না। যা দেখে শশীর প্রশ্ন, ”আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন আচরণে কতটা ফারাক থেকে যাচ্ছে?”
[আরও পড়ুন: ‘দেখো দেখো শের আয়া’, হিমাচল প্রদেশে মোদির আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা, ভিডিও ভাইরাল]
অবশেষে এই অস্বস্তি কাটাতে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, ”আমরা ভাই ভাই। কেউ অন্যভাবে কথা বলতেই পারে। আমি আবার অন্যভাবে বলি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই…” উল্লেখ্য, কংগ্রেসে দলীয় সভাপতি পদে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ (Jitendra Prasad) কিন্তু প্রচারের বালাই ছিল না। দিল্লি আর লখনউয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল জিতেন্দ্রর আনাগোনা। আর সোনিয়া তো ১০ জনপথের বাইরেও বের হননি। কিন্তু এবারের ভোটটা অন্যরকম। গান্ধী পরিবারের কেউ লড়াইয়ে নেই। মল্লিকার্জুন খাড়্গে সেভাবে প্রচারে না নামলেও শশী থারুর প্রচার করছেন রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে।
তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ দাবি করেছেন, খোদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নাকি চাইছিলেন তিনি লড়াইয়ে নামুন। যদিও খাড়গের সঙ্গে তাঁর লড়াই যে অত্যন্ত কঠিন, তা মানছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকী তাঁর জয়ের সম্ভাবনা যে কার্যত নেই, এমন ধারণাও রয়েছে। তবু হাল ছাড়তে নারাজ শশী থারুর। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের অভিমান উগরে দিতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁকে শান্ত করতেই আসরে নামলেন খাড়গে।