অর্ণব আইচ: ভোটের ফলাফলের রাতে পূর্ব কলকাতার (Kolkata) নারকেলডাঙায় খুন হন এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, নারকেলডাঙায় মৃত ওই যুবকের নাম অভিজিৎ সরকার (৩০)। নারকেলডাঙার শীতলাতলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর হামলা হয়। অভিজিৎকে মারতে মারতে রেললাইনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই লাঠি ও কাঠ দিয়ে তাঁর হাত, পা ও মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লাঠি জাতীয় কোনও ভোঁতা বস্তু দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। আঘাত ও রক্তপাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। প্রথমে এই খুনের অভিযোগে সঞ্জয় সামন্ত ও সমীর সামন্ত নামে দুই ভাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অন্য দুই অভিযুক্ত পালিয়ে যায় হুগলির হিন্দমোটরে। সেখানে দেবীপুকুর রোডের একটি জায়গায় গা ঢাকা দেয় তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা হিন্দমোটরে হানা দেন। মানিকতলা মেন রোডের দুই বাসিন্দা সঞ্জয় বসাক ওরফে রুইদাস ও সুফল বসু ওরফে রানা নামে ওই দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে দু’জনকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ (Kolkata Police) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: আগুনে অপমৃত্যু নয়, জয়া সিনেমা হল খুলবে আরও আধুনিক, সময়োপযোগী হয়ে, জানালেন কর্ণধার]
সূত্রের খবর, এলাকায় BJP’র ট্রেড ইউনিয়নের নেতা বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। যদিও পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, নারকেলডাঙায় স্থানীয় একটি সমস্যা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর গোলমাল চলছিল। সেই কারণেই এই খুন। যদিও খুনের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, নারকেলডাঙার এই ঘটনা -সহ রাজ্যের সার্বিক ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll violence) অভিযোগে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যে এই গ্রেপ্তারি রাজ্য প্রশাসনকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।