শুভঙ্কর বসু: আমফান দুর্নীতি মামলায় CAG-কে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ পুর্নবিবেচনার আরজি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য।
গত মে মাসের বিধ্বংসী আমফানে (Amphan) ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির পর পরই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন তালিকা তৈরি করে পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়াও হয়। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা‘তে সাহায্য প্রাপকদের তালিকাও তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলা করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাম প্রভাবিত কৃষক সংগঠন-সহ অন্যান্যরা। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল আমফানের ত্রাণ বণ্টনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য পাননি। পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে, তা খরচ করা হয়নি। সবকটি মামলা একসঙ্গে শুনানির পর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কতজনকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কতজন টাকা পায়নি, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সিএজি-কে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিল হাই কোর্ট । পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ক্যাগের সঙ্গে যেন সমস্তরকমের সহযোগিতা করা হয়। সেই নির্দেশ পুর্নবিবেচনার আরজি জানিয়েছে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় বাঁকুড়া জয়ের আশা দেখছে না তৃণমূল! চিন্তা পুরুলিয়া নিয়েও]
বস্তুত, একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে আমফান ‘দুর্নীতি’। আমফানের ত্রাণের টাকা নয়ছয়, এবং অপাত্রে দান হয়েছে বলে বহুবার সুর চড়িয়েছে বিজেপি (BJP)। এসবের মধ্যে হাই কোর্টের CAG-কে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ অস্বস্তি বেশ খানিকটা বাড়িয়েছে তৃণমূলের। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এসে আমফান নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে রাজ্যকে খোঁচা দিয়ে গিয়েছেন। ভোটের আগে তাই আমফান অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলতে ফের আদালতেরই দ্বারস্থ হল সরকার। এখন দেখার আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়।